বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি॥ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে স্বামীকে তালাক দেওয়াকে কেন্দ্র করে আয়েশা আক্তার নামে এক নারীকে ব্লেড মেরে হত্যার চেষ্টা, শাওন নামের এক যুবককে আটক করেছে উত্তেজিত জনতা।
পারিবারিক কলহ এবং বনিবনা না হওয়ায় বিয়ের দেড় বছর পর স্বামীকে তালাক দেয় স্ত্রী। বিষয়টি মানতে না পেরে তালাকের ১ মাস পরে সাবেক স্ত্রীর গলায় ব্লেড মারার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে বীরগঞ্জ পৌর শহরের সুইচ গেট সংলগ্ন শিশু পার্কে। আহত আয়েশা আক্তার উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের দগড়াই খাটিয়াদিঘি গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত আয়েশার বান্ধবী সুমি জানান, শনিবার দুপুরে একই ইউনিয়নের বুড়া শিব এলাকার নুর নবীর ছেলে শাওন সদ্য তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আয়েশা আক্তারকে কান্তজীউ রাসমেলায় বেড়ানো প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় তারা। বেলা আড়াইটার দিকে পৌর শহরের সুইচ গেট সংলগ্ন শিশু পার্কে আয়েশা আক্তারের গলায় ধারালো ব্লেড মেরে পালানোর সময় তালাকপ্রাপ্ত স্বামী শাওনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে উত্তেজিত জনতা। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় আয়েশাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। আয়েশা আক্তারের ভাই আসাদুল ইসলাম জানান, একই ইউনিয়নের শাওনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে দেড় বছর পূর্বে বিবাহ হয় আয়েশার। কিন্তু পারিবারিক কলহ ও বনিবনা না হওয়ায় গত অক্টোবর/২৪ মাসের প্রথম দিকে ছাড়াছাড়ি হয় তাদের। এর জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে আয়েশাকে ধারালো ব্লেডের দ্বারা হত্যার চেষ্টা চালায় শাওন। দিনেদুপুরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা স্বীকার করে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুল গফুর জানান, শাওন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।