স্টাফ রিপোর্টার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় রংপুরের মুবতাসিম রহমান মাহিমের বাসায় চলছে শোকের মাতম। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের বিচার চেয়েছেন মাহিমের স্বজনসহ এলাকাবাসী। শনিবার সকালে বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে মাহিমের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তার পরিবারের সদস্যরা। এলাকাবাসী ও স্বজনরা ছুটে এসে মাহিমের বাবা-মাকে সান্ত¦না দেন। রাতে মাহিমের আত্মীয়-স্বজনসহ এলাকাবাসী লাশ আসার অপেক্ষা করছিলেন। তার বাড়ি রংপুর নগরীর জুম্মা পাড়ায়। মাহিম রংপুর ক্যন্টমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার শাহীন ইমতিয়াজুর রহমানের ছেলে মুবতাসিম মাহিম। সে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির তৃতীয় বর্ষের লেখাপড়া করতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহিম বড় ছেলে ছিল।
শনিবার সন্ধ্যার পরে মাহিমের চাচা হাসান রহমান বলেন, উচ্চশক্তির বিদ্যুতের তার কেন একটি রাস্তায় ঝুলে থাকবে। তাহলে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের গাফিলতির কারণে আমার ভাতিজা মাহিমের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন এই বিষয়টি লক্ষ্য করলো না, তাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারলো না। আমরা দায়ী বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিচার দাবী করছি।
তিনি বলেন, মাহিম মেধাবী ছিল। একটা দামী জীবন চলে গেছে। জীবন একটা সস্তা হয়ে গেছে। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠালাম, সে ফিরছে লাশ হয়ে। হয়তোঅপরাধীদের বিচার হবে, কিš‘ আমরা যে সন্তান হারিয়েছি, সেই শূন্যতা কে পূরণ করবে।
প্রতিবেশী নাইম হোসেন বলেন, মাহিম খুবই মেধাবী ও শান্ত প্রকৃতির ছেলেছিল। তাকে ঘিরে পরিবারসহ এলাকাবাসীর নানা প্রত্যাশা ছিল। কিন্ত বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে অকালে সে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।
উল্লেখ্য,গাজীপুরেরবোর্ড বাজার এলাকার আইইউটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের সাড়ে ৪৬০ জন শিক্ষার্থী ওই এলাকার ‘মাটির মায়া’ রিসোর্টে ছয়টি বিআরটিসি দোতলা বাস এবং তিনটি মাইক্রোবাস নিয়ে পিকনিকে আসেন। তেলিহাটিইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে পৌঁছানোমাত্র সড়কের পাশ দিয়ে যাওয়া ১১ হাজার ভেল্টেজের লাইনে একটি বাস বিদ্যুতায়িত হয়। এ সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মাহিনসহ তিন ছাত্রের মৃত্যু হয়।