সুন্দরগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি॥ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে আন্তঃনগর বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রাবিরতির দাবিতে ট্রেন আটকে অবরোধ করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী। পরে সাড়ে ৪ ঘন্টা পরে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলামের আশ্বাস পেয়ে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ইউএনও।
তিনি বলেন, এ-র আগে গত শুক্রবার বার বিকেল ৫ টা ১৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি বামনডাঙ্গা রেলস্টেশনে এসে দাঁড়ায়। এ-র আগ থেকেই স্টেশনে অবস্থান নিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে রাত ৯ টা ৪০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি ছেড়ে দেয়া হয়। প্রায় সাড়ে ৪ ঘন্টা ট্রেনটি অবরোধ রেখে বক্তব্য দেন আন্দোলনকারীরা।
ইউএনও আরও বলেন, ট্রেনটি অবরোধের পর প্রথমে রেলওয়ের উত্তরাঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা পরে রেলের জিএমের সাথে কথা বলি। এতে কোনো কাজ না হওয়ায় পরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিনিয়র সচিব ও ডিজি মহোদয়ের মাধ্যমে সম্মানিত উপদেষ্টার সাথে কথা বলা হয়। তিনি আন্দোলনকারীদের সকল দাবী মেনে নেওয়া আশ্বাস দেন। পরে বিষয়টি অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের জানানো হলে তাঁরা অবরোধ তুলে নেন এবং ট্রেনটি ছেড়ে দেয়া হয়।
বামনডাঙ্গা স্টেশন মাষ্টার মো. হাইউল মিয়া বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বামনডাঙ্গা স্টেশনে পৌঁছলে আঁটকে দেন আন্দোলনকারীরা। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা অফিসার ইনচার্জ ও সেনাবাহীনির একটি দলও আসে এখানে। পরে তারা দফায় দফায় অবরোধকারী ও রেল সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধানে আনেন। পরে ইউএনও তরিকুল ইসলাম স্যার রাত সাড়ে নয়টার দিকে যাত্রা বিরতিসহ আসন সংখ্যার বিষয়টি নিশ্চিত করলে অবরোধ তুলে নেয় আন্দোলনকারীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ বর্ষের ছাত্র মো. আবু রায়হানের নেতৃত্বে অবরোধে অংশ নেয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষসহ রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১২ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করা হয় আন্তঃনগর বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কিন্তু ট্রেনটি বামনডাঙ্গা স্টেশনে যাত্রাবিরতি ও অসন সংখ্যা রাখা হয়নি। এরপর থেকে ট্রেনটির যাত্রাবিরতির জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী।