স্টাফ রিপোর্টার॥ যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রা ও পেশাগত ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। নতুন প্রযুক্তির আগমনে কিছু পেশা হারিয়ে যাচ্ছে, আবার নতুন কিছু পেশার সৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিবর্তনের ধারায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশা যা ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে তা হলো ঘড়ি মেরামতকারী বা ‘ঘড়ির ডাক্তার’।যারা ঘড়ি মেরামতের কাজ করেন তাদেরকে সাধারণত ‘ঘড়ির ডাক্তার’ বলেন অনেকে ।
সময়ের সঙ্গে মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যায়, আর সেই সঙ্গে বদলে যায় পেশাও। নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হয়, আবার কিছু কিছু পেশা ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে থাকে। যারা নতুন সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন, তারা এগিয়ে যান। কিন্তু কেউ কেউ তাদের পুরোনো পেশার সঙ্গেই থেকে যান, কারণ সেই কাজই তাদের একমাত্র জীবন, ভালোবাসা আর নেশা।এমনই একজন আলমগীর হোসেন মুন্না যিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে ঘড়ি মেরামতের কাজ করে আসছেন রংপুর জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটের পাশে।
তিনি বলেন, নব্বইয়ের দশকেও ঘড়ি ছিল বেশ সাধারণ ব্যবহার্য জিনিস। সবাই ঘড়ি ব্যবহার করত, এবং বাড়ির দেওয়ালে বড় ঘড়ি থাকার রেওয়াজও ছিল।কিন্তু প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ির জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করে। মুঠোফোনের আবির্ভাবে ঘড়ির ব্যবহার ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথে চলে যায়। ঘড়ির সঙ্গে হারিয়ে যেতে শুরু করে সেই সব মানুষ, যারা ঘড়ি মেরামত করতেন। আগে চাবিওয়ালা ঘড়ি ছিল কিন্তু এখন ব্যাটারিওয়ালা ঘড়ির কারণে তাদের মজুরি অনেক কমে গিয়েছে। ফলে তাদেরকে অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
ঘড়ির ডাক্তার পেশাটি একসময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রতিটি শহরে ও বাজারে ঘড়ি মেরামতের দোকান ছিল অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমানে স্মার্ট ওয়াচ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগে এই পেশাটি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অনেক দক্ষ ঘড়ি মেরামতকারী বেকার হয়ে পড়ছেন এবং নতুন প্রজন্ম এই পেশায় আসছে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।