কুড়িগ্রাম ব্যুরো ॥ ভারি বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ফের বাড়ছে নদ-নদীর পানি। গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ১০০ মিলিমিটারসহ জেলায় ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ছে ধীর গতিতে বাড়লেও তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। ভারি বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রাম শহরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর, ফায়ার সার্ভিস চত্বর, টাপু ভেলাকোপা, চর হরিকেশ, তালতলা ও রৌমারীপাড়াহ কয়েকটি এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলে সীমান্তবর্তী জিঞ্জিরাম নদীর পানি দুকুল ছাপিয়ে রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার ১০টি গ্রামের নিচু এলাকার আমন ও বাদাম ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এরমধ্যে রৌমারী উপজেলার চর লাঠিয়াল, চান্দারচর,ভন্দুরচর, বড়াইবাড়ী এবং রাজীবপুর উপজেলার বালিয়ামারি, শিবেরডাঙি ও নয়ারচর রয়েছে।
গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তিস্তা ও ধরলার নিচু এলাকায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে থাকায় ক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মদাজালফাড়া গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া বলেন, ২০ শতক জমি আবাদ করছি। সেই ধান পানির নিচোত পড়ি আছে। এখন বউ বাচ্চা নিয়া খামো কী?’
এদিকে পানি হ্রাস বৃদ্ধির মধ্যে থেমে নেই নদ-নদীর ভাঙন। তিস্তার ভাঙনে রাজারহাটের গতিয়াশাম, চর গতিয়াশাম ও ধরলার ভাঙনে বেগমগঞ্জ, সারডোবসহ কয়েকটি এলাকায় বেড়েছে নদীর ভাঙন। গত এক সপ্তাহে এসব এলাকায় গৃহহীন হয়েছে অন্তত ৩ শতাধিক পরিবার। বেগমগঞ্জে ভাঙনে বিলীন হয়েছে একটি কমিনিটি ক্লিনিক ও বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র। ঝুঁকিতে পড়েছে একটি হাইস্কুল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। অন্যান্য উপজেলাতেও কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে। এতে নিচু এলাকার ধান, সবজি ও বাদাম ক্ষেতের কিছু ক্ষতি হতে পারে।