স্টাফ রিপোর্টার॥ বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)’র জিএমের প্রেষণাদেশ বাতিলের দাবি ও বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশাসনিক কর্মবিরতি পালন করছে। বুধবার সকাল থেকে কর্মকর্তা কর্মচারিারর তাদের দাপ্তরিক কাজকর্ম বন্ধ রেখেছে। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক সেবা বন্ধসহ পুর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত কর্মকর্তা কর্মচারিরা। এর আগে জিএম (উত্তরাঞ্চল) মোহাম্মদ আব্দুল মালেক প্রায় দুই সপ্তাহ রংপুর অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। জিএময়ের প্রেষণাদেশ বাতিলসহ বিভিন্ন দাবিতে বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, আব্দুল মালেক জিএম-২, রংপুর হিসাবে যোগদানের পর থেকে তার অপেশাদার আচরণ এবং খামখেয়ালী কর্মকান্ডের কারণে এই অঞ্চলে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের মাঝে জনরোষের সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষ্যতে অনাকাঙ্খিত পরিবেশ এড়াতে বিটিসিএলে তার প্রেষণাদেশ বাতিল করার দাবি জানানো হয়। গত এক মাসেই ৪৫ জনসহ গত দুই মাসে প্রায় ৬০ জনের বেশি কর্মচারী বদলি করে জিএম-২ অধিক্ষেত্রের ১০টি জেলায় বিটিসিএল এর সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নষ্ট করা হয়েছে।। বদলিগুলো জিএম ব্যক্তিগত আক্রোশ, ক্ষোভ,খেয়াল খুশি অনুযায়ী করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। কিছু কর্মচারিকে বদলির কয়েকদিনের মাঝেই পুনরায় বদলি করে পূর্বের পদে নিয়ে এসছেন। এধরনের বদলি বিটিসিএল এর কোন স্বার্থ নয় বরং ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে করা হচ্ছে অভিযোগে বলা হয়। জিএমের আচরণে রংপুর, দিনাজপুর এবং বগুড়া টেলিকম বিভাগের ১০টি জেলার বিটিসিএল এর কর্মকান্ডে হযবরল অবস্থা তৈরি হচ্ছে ।
এই অবস্থায় টেলিযোগাযোগ উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগের ১৬ জেলার সকল কর্মকর্তারা ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার হতে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রশাসনিক খর্মবিরতি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর মধ্যে তার প্রেষণাদেশ বাতিল করা না হলে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে গ্রাহক সেবা বন্ধ করে পূর্ণ কর্মবিরতি পালন করা হবে। এবিষয়ে জিএম মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, আমি যা করেছি তা বিটিসিএলের আইন অনুযায়ি করেছি। কোন অনিয়ম করিনি। কর্মবিরতির বিষয়টি জানা নেই বলে তিনি জানান।