কচাকাটা (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি॥ কুড়িগ্রামের প্রস্তাবিত কাচাকাটা উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে ৪ জন শিশু নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ৩ জন মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। নারায়ণপুর ইউনিয়নের বাগমারা এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে আপন ভাই-বোনসহ চার শিশু নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ চার শিশু ৯ নং ওয়ার্ডের বাঘমারা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে জুয়েল (৭), অষ্টাশির চর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন (৭), আহাদ আলীর দুই সন্তান আঁখি খাতুন (৯) ও আতিক হোসেন (৭)। নিখোঁজ চার শিশু স্থানীয় ডা. মনির উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। বারবার মূর্ছা যাচ্ছে নিহতের বাবা মা ও স্বজনরা।
জুয়েলের চাচাতো ভাই আলাল উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর ছয় জন মিলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপত্র নদে গোসল করতে নামে। এদের মধ্যে একজন পারে উঠে আরেকজনকে টেনে তুলতে পারলেও অপর চারজন স্রোতের টানে ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রামের সবাই মিলে তাদের খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। আমি নিজেও পানিতে নেমে খুঁজেছি। রাত হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে খোঁজা বন্ধ রাখা হয়েছে।
নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড সদস্য কবিরুল ইসলাম জানায়, সকালে আতিক হাসান নামের এক শিশু ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। পরে চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ভাসতে দেখে সেখানকার স্থানীয়রা একজনকে উদ্দার করেছে। আরেকজন মোল্লাপাড়া এলাকায় উদ্ধার হয়। তকে এখনও আঁখিমনি নিখোঁজ রয়েছে। রংপুর ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী জানায়, তারা খবর পেয়ে রাতে আসতে না পেরে সকার ৬টার দিকে এসে জানতে পারেন একজনকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। পরে তারা উদ্ধার কাজে নামেন। এরমধ্যে চিলমারীর রানিগঞ্জ বেড়িবাঁধের কাছ থেকে জুয়েল রানা ও মোল্লারহাট এলাকা থেকে নাজমুল ইসলামকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে সেখানকার স্থানীয়রা। আরেকটি মেয়ে এখনও নিখোঁজ রয়েছে। তাকে উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।