অনেক দেশেই মৃত্যুর অন্যতম কারণ হৃদরোগ। তবে হাঁটা এই ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে বা হৃৎপি-কে শক্তিশালী করতে হাঁটাচলা করা খুব জরুরি। তা ছাড়া এটির মতো সহজ ব্যায়াম আর হয় না। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশভিলের ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের সাম্প্রতিক গবেষণার পর বলা হচ্ছে, প্রতিদিন ছয় হাজার কদম হাঁটলেই হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। যা ছিল গবেষণায় : যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ৪২টি দেশের ২০ হাজার ১৫২ জনের স্বাস্থ্যতথ্য নিয়ে আটটি গবেষণার ফলাফল বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি এই গবেষণার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যতথ্য নেওয়া ব্যক্তিদের গড় বয়স ছিল ৬৩ বছর, যাদের অর্ধেকের বেশি (৫২ শতাংশ) ছিলেন নারী। এই গবেষণাটি মূলত হাঁটাহাঁটির সঙ্গে হৃদরোগের সম্পর্ক কেমন তা পরীক্ষার জন্যই করা হয়েছে। এই সমীক্ষার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, তাঁরা প্রতিদিন ছয় থেকে ৯ হাজার কদম বা ধাপ হাঁটুন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে। তবে প্রতিদিন অতিরিক্ত আরো এক হাজার কদম হাঁটতে পারলে তাঁদের হৃদরোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কম হয়।
হিসাব রাখার উপায় : দৈনন্দিন হাঁটার হিসাব রাখতে বিভিন্ন ফিটনেস ট্র্যাকিং ডিভাইসের ওপর নির্ভর করতে পারেন। ব্রেসলেট বা ঘড়ির মতো দেখতে এসব ডিভাইস ছাড়াও কেউ চাইলে স্মার্টফোনে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ ইনস্টল করে দৈনিক হাঁটাহাঁটির হিসাব রাখতে পারেন।
যা করবেন
* বয়স যা-ই হোক না কেন, প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটার অভ্যাস করুন।
* এই সহজ ব্যায়ামটি নিজের তাগিদে এবং মনের আনন্দেই করুন। তবে অন্যান্য শারীরিক সমস্যা না থাকলে হাঁটার গতি একটু বাড়িয়ে দিন। দেহ থেকে ঘাম ঝরাতে পারলে বেশি ফল পাওয়া যাবে।
* ভালো হয় ব্রিক্স ওয়াকিং করতে পারলে; এতে মিনিটে ১০০ কদম হাঁটতে হবে।
* নিয়মিত হাঁটার সময় না পেলে সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করুন। যেমন : লিফট ব্যবহারের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠুন, গাড়ি বা রিকশার পরিবর্তে হাঁটার মাধ্যমে অফিস বা কর্মস্থলে যান, বাসার ছাদে বা রুমে জগিং করুন ইত্যাদি।
* এসব ছাড়াও খেলাধুলা করুন বা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা যায় এমন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করুন। * যাঁদের বয়স কম তাঁরাও এসব অনুসরণ করুন।