ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপে গঠিত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেন।
অন্তর্বর্তী সরকার গত ১৮ নভেম্বর ‘নারীপক্ষ’র প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরীন পারভীন হককে প্রধান করে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করে। এ ধাপে গণমাধ্যম, স্বাস্থ্য, শ্রম ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনও গঠনা করা হয়।
এসব সংস্কার কমিশনের ৯০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও মেয়াদ বাড়িয়ে প্রথমে ৩১ মার্চ এবং দ্বিতীয় দফায় ৩০ এপ্রিল করা হয়। সেগুলোর মধ্যে ‘স্থানীয় সরকার সংস্কার’ কমিশনের প্রাথমিক সুপারিশের প্রতিবেদন জমা পড়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি। এরপর ২২ মার্চ জমা দেওয়া হয় গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়। নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়ায় বাকি থাকল স্বাস্থ্য ও শ্রম। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় সে বছর অক্টোবরে প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশনগুলো হল- সংবিধান সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার। এর মধ্যে পুলিশ সংস্কার ছাড়া অন্য পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছতে ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।