স্টাফ রিপোর্টার॥ গেল সপ্তাহ থেকে বাজারে নতুন তরমুজ আসতে শুরু করেছে। আজ থেকে রমজান শুরু হওয়ায় রংপুর নগরীর সব এলাকা, অলিগলি, দোকানগুলোতে ব্যবসায়ীরা ভরপুর তরমুজ এনেছেন। হাঁকডাক বাড়ছে তরমুজ বেচাকেনায়। প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজানে অন্যান্য বছর যেভাবে তরমুজ বিক্রি হতো, এ বছর সেভাবে এখনও বিক্রি শুরু হয় নি।
গতকাল রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজারে তরমুজের দামের এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তরমুজ মূলত ডিসেম্বরে চাষ শুরু হয়। এপ্রিল মে মাসে মূলত তরমুজের ভরপুর মৌসুম। বর্তমানে বাজারে যেসব তরমুজ উঠেছে সেগুলো আগাম জাতের তরমুজ। তরমুজগুলো সাইজে অনেকটা ছোট আকারের। বাজারে পটুয়াখালী, বরগুনা , ভোলা, ঝালকাঠি অঞ্চলের তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম খুলনা এলাকার তরমুজ আরও কিছুদিন পরে আসবে। বর্তমানে খুচরা বাজারে তরমুজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি হচ্ছে।
ইফতার ঘিরে জমজমাট রসালো আনারসের বাজার রমজানের শুরুতেই মাল্টা ও ডাবের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
কেরানি পাড়া এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজার থেকে একটা তরমুজ কিনলাম প্রতি কেজি ৬০ টাকা করে ধরেছে। যদিও তারা ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করছে। তরমুজের সাইজ ছোট মূলত এগুলা সিজন শুরু হওয়ার আগে বাজারে এসছে। তবুও প্রথম রোজার দিন ইফতারিতে খাওয়ার জন্য তরমুজটা নিলাম। পুরোপুরি মৌসুম না হওয়া পর্যন্ত খুব একটা স্বাদ হবে না তরমুজের।
একই রকম যুক্তি তুলে ধরে সিটি বাজার এলাকার তরমুজ বিক্রেতা আজহারউদ্দিন বলেন, গতবার এই সময় ৮০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করেছি । এই তুলনায় এখন সেই তরমুজ ৬০ টাকা ৭০ টাকা কেজি, সেই হিসেবে গতবারের চেয়েও দাম কম। তরমুজের মূল মৌসুম আসতে এখনো কিছুদিন বাকি আছে। তাই সাধারণ মানুষ মনে করছে এই তরমুজ এখন টেস্ট পাওয়া যাবে না। সে কারণে তুলনামূলক ক্রেতা কম এখন। আরও ১০-১৫ দিন পর থেকে হয়তবা মানুষ তরমুজ কিনতে শুরু করবে কিন্তু আসলে এই তরমুজ খুব টেস্টি এবং মিষ্টি।
রংপুর নগরীর তিন মাথায় প্রচুর পরিমাণে তরমুজ নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম । তিনি বলেন, রমজানে বাজারে তরমুজ উঠেছে। তাই ভাবলাম প্রচুর পরিমাণে তরমুজ বিক্রি হবে। সে কারণে বিক্রি করার জন্য অনেক তরমুজ কিনে আনলাম, আজ ২য় রোজা সেই তুলনায় তরমুজের ক্রেতা নেই। সাত আট দিন পর থেকে তরমুজের ক্রেতা বাড়বে।