স্টাফ রিপোর্টার॥ বোরো ধানের চারা রোপণের জন্য জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের কৃষকরা।পানি সংকটের কারণে বিপাকে পড়েছে বোরো ধানচাষিরা। বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে সেচ সংকট দেখা দেওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তাঁরা। বাড়তি খরচ গুনেও পানি পাচ্ছেন না অনেকে। অনেকে জমিতে চারা রোপণের পর এ সংকট দেখা দিয়েছে। আবার কেউ কেউ সেচের অভাবে চারা রোপণ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
আবার, কৃষকেরা জানিয়েছেন, সারের দাম বেশি হওয়ায় খরচ বেড়েছে। বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন ও রোপণের কাজ শেষের দিকে। এরই মধ্যে বিভিন্ন উপজেলার প্রায় ৮৫ শতাংশ জমিতে চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী পনেরো দিনের মধ্যে চারা রোপণ শেষ হবে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বাহাগীলি গ্রামের কৃষক মো. মনির (৬৫) বলেন, গত বছর এসময় আমন চারা রোপণ করেছিলাম, এ ধানের চাল চিকন হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চাহিদা কম। এবছর আমি ২ একর জমিতে বোরোধানের চারা রোপণ করেছি। শ্রমিকদের মজুরি, রোপণ ও সার-ঔষধসহ ২৭ হাজার টাকা খরচ পড়েছে, তবে সারের বস্তা প্রতি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে ৯০ দিনে এ ফসল ঘরে তোলা যাবে। অন্যদিকে,বাড়তি খরচ গুনেও পানি পাচ্ছেন না অনেকে। ভুক্তভোগী কৃষকেরা বলছেন, প্রতিবছর বোরো মৌসুমে পানির সংকট দেখা দেয়। বিভিন্ন সেচনালা খনন না করার কারণে পানি আসে না। তাই বিভিন্ন এলাকায় যেমন পানির সমস্যা হয়, ঠিক তেমনি অনেক হাওরেও পানি সংকট দেখা দিয়েছে। একরপ্রতি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে বোরো ধান চাষ করে পানির জন্য সবকিছু নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, অধিকাংশ পুকুর, খাল, নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় ঠিকভাবে পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। ফলে সেচ সংকট দেখা দেয় কৃষি জমিতে। অবিলম্বে তাই খাল খনন অথবা গভীর নলকূপ স্থাপনের দাবি কৃষকদের। কৃষি অফিসের তথ্যমতে, রংপুরে চলতি মৌসুমে ১ লক্ষ ৩২ হাজার ৭৪৬ হেক্টর জমিতে বোরোধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।