12:11 am, Saturday, 26 April 2025

রংপুর সিটি বাজারে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:00:33 pm, Friday, 25 April 2025
  • 1 Time View

স্টাফ রিপোর্টার॥ রংপুর সিটি বাজারের রাস্তা, কাঁচাবাজার, মাছবাজার ও প্রধান রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে না থাকায় এখানে  চলাচলকারী মানুষজন দুর্ভোগে পড়ছেন।

বিশেষ করে মাছবাজার ও প্রথম গলি/প্রধান গলি থেকে বৃষ্টির পানি, মাছ পরিবহনকারী বিভিন্ন গাড়ি থেকে বরফ গলা পানি, প্রবাহিত হওয়ার জন্য কোনো ধরনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাজারের মধ্যে পানি জমে থাকে। ফলে রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে কাদা ও জলাবদ্ধতা। এতে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষজন দুর্ভোগে পড়ছেন।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ দশমিক ১৬ একর জমির ওপরে সিটি বাজার প্রতিষ্ঠিত। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে ১ হাজার ১১২টি দোকান রয়েছে। কিছুদিন আগে এখানকার ব্যবসায়ীগন কর্তৃক কিছু দাবি উঠেছিল, দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরুষ ও নারীদের জন্য আধুনিক মানের টয়লেট নির্মাণ, মোটরসাইকেল-গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গেট নির্মাণ, বাজারে ক্রেতা সাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা প্রশস্ত ও সংস্কার এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দাবীসমুহের অনেকগুলো বাস্তবায়নের মুখে।

সরেজমিনে সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর সিটি বাজারের রাস্তা, কাঁচাবাজার, মাছবাজার ও প্রধান রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এর  বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।রাস্তায় জমে থাকা পচা আবর্জনায় মেশানো পানিতে নষ্ট হয়ে যায় পরিধেয় কাপড়। এতে বিব্রত ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।বাজারে আংশিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো অপ্রশস্ত ও অকেজো। তাই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নাজুক। বাজারে বিপুল রাজস্ব আয় হলেও ড্রেন পরিষ্কারের জন্য নেই পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তাই ড্রেন সময়মতো পরিষ্কার হয় না।

ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে পানি জমে দুর্গন্ধসহ পোকামাকড় সৃষ্টি হচ্ছে। ড্র্রেনের ময়লা আবর্জনা উপচে পড়ে সড়কে উঠে যাওয়ায় বারোমাস সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে।

শফিক নামের এক ক্রেতা জানান, ‘বাজারের প্রধান সড়কে যদি এভাবে কাদা যুক্ত পানি দিয়ে চলাচল করতে হয়, এই দুঃখ কাকে বুঝাব। জনপ্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে।’ পার্শ্ববর্তী স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ময়লা আর্বজনার কারণে অতিরিক্ত দুর্গন্ধে আশে পাশে বসাও দুস্কর হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দোকানের শ্রমিক, পথচারী ও বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের বিব্রতকর  অবস্থায় পড়তে হয়। ফলে ময়লা আর্বজনা ও নোংরা পানি নিস্কাসন করা জরুরী।  অন্যথায় সৃষ্ট দুর্গন্ধে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুকিতে পড়বে।

অন্যদিকে,হাসি আক্তার নামে একজন নারী ক্রেতা বলেন,  বাজারে  সব সময় পুরুষ ও মহিলাদের আনাগোনা থাকে। ফলে শৌচাগার সংকটে মহিলা, শিশু ও পথচারিদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে কেনাকাটা ও বিভিন্ন কাজে আসা মহিলাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের মলমূত্র বিভিন্ন স্থানে ফেলানো হয়। এতে দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে বাজারের গলি ও সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

রংপুর সিটি বাজারে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ

রংপুর সিটি বাজারে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ

Update Time : 06:00:33 pm, Friday, 25 April 2025

স্টাফ রিপোর্টার॥ রংপুর সিটি বাজারের রাস্তা, কাঁচাবাজার, মাছবাজার ও প্রধান রাস্তায় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় পানি নিষ্কাশন সঠিকভাবে না থাকায় এখানে  চলাচলকারী মানুষজন দুর্ভোগে পড়ছেন।

বিশেষ করে মাছবাজার ও প্রথম গলি/প্রধান গলি থেকে বৃষ্টির পানি, মাছ পরিবহনকারী বিভিন্ন গাড়ি থেকে বরফ গলা পানি, প্রবাহিত হওয়ার জন্য কোনো ধরনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বাজারের মধ্যে পানি জমে থাকে। ফলে রাস্তায় পানি জমে সৃষ্টি হয়েছে কাদা ও জলাবদ্ধতা। এতে এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষজন দুর্ভোগে পড়ছেন।

উল্লেখ্য, রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪ দশমিক ১৬ একর জমির ওপরে সিটি বাজার প্রতিষ্ঠিত। এখানে ছোট বড় মিলিয়ে ১ হাজার ১১২টি দোকান রয়েছে। কিছুদিন আগে এখানকার ব্যবসায়ীগন কর্তৃক কিছু দাবি উঠেছিল, দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুরুষ ও নারীদের জন্য আধুনিক মানের টয়লেট নির্মাণ, মোটরসাইকেল-গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গেট নির্মাণ, বাজারে ক্রেতা সাধারণের চলাচলের জন্য রাস্তা প্রশস্ত ও সংস্কার এবং পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। দাবীসমুহের অনেকগুলো বাস্তবায়নের মুখে।

সরেজমিনে সিটি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, রংপুর সিটি বাজারের রাস্তা, কাঁচাবাজার, মাছবাজার ও প্রধান রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এর  বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।রাস্তায় জমে থাকা পচা আবর্জনায় মেশানো পানিতে নষ্ট হয়ে যায় পরিধেয় কাপড়। এতে বিব্রত ও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে পথচারী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।বাজারে আংশিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও সেগুলো অপ্রশস্ত ও অকেজো। তাই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাও নাজুক। বাজারে বিপুল রাজস্ব আয় হলেও ড্রেন পরিষ্কারের জন্য নেই পরিচ্ছন্নতা কর্মী। তাই ড্রেন সময়মতো পরিষ্কার হয় না।

ড্রেনগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ার ফলে পানি জমে দুর্গন্ধসহ পোকামাকড় সৃষ্টি হচ্ছে। ড্র্রেনের ময়লা আবর্জনা উপচে পড়ে সড়কে উঠে যাওয়ায় বারোমাস সড়কে জলাবদ্ধতা থাকে।

শফিক নামের এক ক্রেতা জানান, ‘বাজারের প্রধান সড়কে যদি এভাবে কাদা যুক্ত পানি দিয়ে চলাচল করতে হয়, এই দুঃখ কাকে বুঝাব। জনপ্রতিনিধিরা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছে।’ পার্শ্ববর্তী স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ময়লা আর্বজনার কারণে অতিরিক্ত দুর্গন্ধে আশে পাশে বসাও দুস্কর হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতে দোকানের শ্রমিক, পথচারী ও বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের বিব্রতকর  অবস্থায় পড়তে হয়। ফলে ময়লা আর্বজনা ও নোংরা পানি নিস্কাসন করা জরুরী।  অন্যথায় সৃষ্ট দুর্গন্ধে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুকিতে পড়বে।

অন্যদিকে,হাসি আক্তার নামে একজন নারী ক্রেতা বলেন,  বাজারে  সব সময় পুরুষ ও মহিলাদের আনাগোনা থাকে। ফলে শৌচাগার সংকটে মহিলা, শিশু ও পথচারিদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে কেনাকাটা ও বিভিন্ন কাজে আসা মহিলাদের সঙ্গে থাকা শিশুদের মলমূত্র বিভিন্ন স্থানে ফেলানো হয়। এতে দুর্গন্ধের কারণে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। অনেকে আবার বাধ্য হয়ে বাজারের গলি ও সড়কের পাশে মলমূত্র ত্যাগ করছেন। এর ফলে সৃষ্ট দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। এতে জনস্বাস্থ্যও হুমকির মুখে পড়েছে।