মহানগর প্রতিনিধি॥ অসহায় তিন বোনকে দেখতে এসেছিলেন দৈনিক যুগের আলোর প্রকাশক, সম্পাদক ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসের পরিচালনা বোর্ডের সদস্য মমতাজ শিরীন ভরসা। ওই তিন নিঃশ্ব নারীর সাথে মনখুলে কথা বলেছেন এবং তাদের কষ্টের কথা শুনেছেন তিনি। বয়স্ক ওই তিন নারীর দুঃখের কথা শুনে মমতাজ শিরীন ভরসা চোখ অশ্রু সজল হয়ে উঠেছিল। ভেজা চোখে সাহস জুগিয়েছেন তাদের। পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। পরম কৃতজ্ঞতায় মমতাজ শিরীন ভরসাকে জড়িয়ে ধরে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল তারা তিনজন। প্রাপ্তি আনন্দের রেশ ছড়িয়ে পড়েছিল ওই তিন নারীর চোখেমুখে। মমতাজ শিরীন ভরসা তাদেরকে লেপ তোষক, বালিশ, ঈদের উপহার শাড়ী ও নগদ টাকা প্রদান করেন। এসময় তিন বোন আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেন।

দেড় পোয়া চালে চলে বিধবা তিন বোনের ইফতার সেহরী- শিরোনামে দৈনিক যুগের আলো পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মমতাজ শিরীন ভরসা তাদের কাছে এসে দেখতে চাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি রেখেছেন মমতাজ শিরীন ভরসা। তিনি গতকাল বুধবার বিকেলে সরেজমিনে ওই তিন বিধবা নারীর কাছে এসে তাদের সাথে কথার আড্ডায় সময় কাটিয়েছেন। মমতাজ শিরীন ভরসার আগমনের সংবাদে অনেক নারী পুরুষ শিশুরা ছুটে আসে সেখানে। ভাঙ্গা কুড়ে ঘরের সামনে তাকে বসতে দেয়া হয়। তাকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ওই তিন নারী। একে একে তারা বয়ে চলা জীবনে কষ্টের গল্প শোনান। ৪৭ সালে ভারত থেকে কী ভাবে বাংলাদেশে এসেছিলেন। ৭১ সালে কেমন ছিলেন। স্বামীরা মৃত্যু বরণ করার পর বিধবা জীবন যাপন যে ভাবে চলছে। উপার্জনহীনতা, খাদ্য কষ্টকি কি কষ্ট রয়েছে ইত্যাদি। বৃদ্ধা আছিয়া বেগম মমতাজ শিরীন ভরসাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, ক্যানেলের পাশে বাঁশ ঝাড়ের ভিতরে এক শতক জমিতে বসবাস করি। আমাদের দেখার কেউ নেই। ছিল না। আপনি এখন থেকে আমাদের মা। হামার দায়িত্ব তোমাক নেওয়া নাগবে। তখন মমতাজ শিরীন ভরসার চোখ ছলছল করছিল জলে। একটি বোবা কান্নার ঢেউ আঁছড়ে পড়তে চাইছিল যেন। পরে উপস্থিত নারী পুরুষ শিশুদের নিয়ে দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রহিমুদ্দিন ভরসার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার বিজ্ঞাপন ম্যানেজার আব্দুর রহিম, স্টাফ ফটোগ্রাফার আনোয়ার হোসেন ইমরোজ ইমু ও সদর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি দৈনিক ডুগের আলোর মহানগর প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মখদুমীসহ অন্যরা।
