মোঃ রেজাউল করিম রঞ্জু, নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীতে পান চাষ করে সফল হয়েছেন জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের মেম্বার পাড়ার মনভোলা নামের এক কৃষক। পান চাষের উপড় নির্ভরশীল পরিবারটি। পরিবারটি পান চাষ করে ফিরে পেয়েছেন সফলতা। অস্বচ্ছল পরিবারটি ফিরে পেয়েছেন স্বচ্ছলতা। পরিবারটির স্বচ্ছলতা দেখে ও পান চাষে লাভজনক হওয়ায় অনেকে ঝুঁকে পরছেন পান চাষে। এই জেলায় পানের চাহিদা বেশী,তাই কৃষকদের বিক্রি নিয়ে বাড়তি কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না।
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়,এবার জেলায় ১.৮৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। এগুলোর জাত হলো মিঠাপান,ছাচি পান,জাতি পান। এসব জাতের পান চাষ হয়েছে, ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী,আমবাড়ী। জলঢাকা কিশোরগঞ্জ ও ডিমলার কিছু কিছু জায়গায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কৈমারী ইউনিয়নের অজেন্দ্র নাথের ছেলে মনভোলা নাথ ৬০ শতাংশ জমিতে পান চাষ করেন। পান চাষ করে সে আজ পরিবারের অভাব অনটন দুর করতে পেরেছেন। তার পান চাষ দেখে পানের বাম্পার ফলন হওয়ায় ওই এলাকার কৃষকেরা উদ্ভুদ্ধ হয়েছেন পান চাষে।
স্থানীয় ব্যক্তি সামসুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এই পানের বরজে সব সময় কাজ করি। এখানে কাজ করে আমার পাঁচ সদস্যের একটি পরিবার চলে। পান চাষে খরচ কম,লাভ বেশী। এই এলাকায় এটাই প্রথম পান চাষ। এই পান চাষ দেখার জন্য অনেক কৃষক প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে আসে। বুদ্ধি নিয়ে যায় পান চাষ করার জন্য।
এ বিষয়ে মনভোলার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,আমি পান চাষ করে সফল হয়েছি। আগে আমার পরিবারে অভাব লেগেই থাকতো,এখন অভাব অনটন নাই বললেই চলে। আমি এখন অনেক সুখে আছি। পান চাষে খরচ কম, মুজুরী কম তাই আমি এবার যাবতীয় সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকা আয় করেছি পান বিক্রি করে।তাই আমি কৃষকদের পান চাষ করার জন্য সব সময় উদ্ভুদ্ধ করে থাকি।
এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর উপপরিচালক ড.এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,এ জেলায় পান চাষ হয়েছে ১.৮৫ হেক্টর জমিতে। অনেক জায়গায় পান চাষের উপযোগী মাটি রয়েছে। যারা চাষ করেছেন তাদের ফসলের সবসময় খোঁজ খবর রাখা হয়।