12:06 am, Saturday, 26 April 2025

তিস্তায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পরিয়ায়ী পাখি

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:16:01 pm, Thursday, 5 December 2024
  • 22 Time View

স্টাফ রিপোর্টার॥ আনুষ্ঠানিকভাবে শীত ঋতু আসতে আরও কয়েকদিন বাকি থাকলেও এর মধ্যে শীত জেকে বসতে শুরু করেছে রংপুর অঞ্চলে। এই শীতে তিস্তা নদীর সৌন্দর্য বাড়াতে ভিড় করছে দুর্লভ পরিয়ায়ী পাখি। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্ট থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার তিস্তা নদী এবং নদীর চরে এখন বিচরণ করছে অসংখ্য পরিয়ায়ী পাখি। এর কোন কোনটা হাজার মাইল দূর থেকে এসে মোহনীয় করে তুলছে তিস্তার প্রকৃতি এবং পরিবেশকে। তিস্তা  এখন পরিযায়ী পাখির নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। 

জানাগেছে, প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিস্তায় পরিয়ায়ী পাখির কলতানে  মুখর হয়ে উঠে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পাখি আসছে। এবার বেশ কিছু নতুন পরিয়ায়ী পাখির দেখা পাওয়া গেছে তিস্তায়। নদীর পরিবেশ প্রকৃতি পাখিদের অনুকূলে থাকায় তিস্তাকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করছে এই পাখিগুলো।  নদীতে শামুক, জলজ পোকামাকড় এসব পাখির খাদ্য। তিস্তায় এসব খাদ্য পাওয়া যায় বলে এখানে বিচরণ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে পাখিগুলো। তিস্তায় যেন পাখির নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্রে করা যায় এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছে প্রকৃতি প্রেমিরা। সসুদূর সাইবেয়িা,মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাদাখ থেকে এসব পাখি আসছে। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ হাঁস, ছোটকান প্যাচা,লম্বাপা তিসাবাজ,জিরিয়া, টিটি, মনকান্ড, চখাচখিসহ কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৫ প্রজাতির পাখির দেখা মিলে তিস্তায়। গত ২ ডিসেম্বর ছবি ও পাখির খোঁজে দিনভর তিস্তার বুকে ছিলেন সৌখিন আলোকচিত্রী  কবি ও লেখক রানা  মাসুদ, ফটো সাংবাদিক রঞ্জিত দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন  এবং রংপুর চেম্বারের পরিচালক হাসান মাহবুব আখতার লোটনসহ কয়েকজন।  তাদের ক্যামেরায় উঠে আসে তিস্তার কিছু পরিযায়ী পাখির  বিচরণের চিত্র। আলোকচিত্রী  কবি ও লেখক রানা  মাসুদ বলেন, প্রতিবছরই  দুলর্ভ পাখি দেখতে এবং পাখির ছবি তুলতে তিস্তাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাই। এবার তিস্তায় গত বছরের চেয়ে বেশি পাখির আগমন ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি প্রাণ ও প্রকৃতিকে রক্ষা করতে ছুঁয়ে যাক সকলের অন্তরে প্রকৃতি প্রেম এমনটা আশা করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

রংপুর সিটি বাজারে চলাচলকারী মানুষের দুর্ভোগ

তিস্তায় মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে পরিয়ায়ী পাখি

Update Time : 05:16:01 pm, Thursday, 5 December 2024

স্টাফ রিপোর্টার॥ আনুষ্ঠানিকভাবে শীত ঋতু আসতে আরও কয়েকদিন বাকি থাকলেও এর মধ্যে শীত জেকে বসতে শুরু করেছে রংপুর অঞ্চলে। এই শীতে তিস্তা নদীর সৌন্দর্য বাড়াতে ভিড় করছে দুর্লভ পরিয়ায়ী পাখি। নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্ট থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার তিস্তা নদী এবং নদীর চরে এখন বিচরণ করছে অসংখ্য পরিয়ায়ী পাখি। এর কোন কোনটা হাজার মাইল দূর থেকে এসে মোহনীয় করে তুলছে তিস্তার প্রকৃতি এবং পরিবেশকে। তিস্তা  এখন পরিযায়ী পাখির নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্রে পরিনত হয়েছে। 

জানাগেছে, প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিস্তায় পরিয়ায়ী পাখির কলতানে  মুখর হয়ে উঠে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও পাখি আসছে। এবার বেশ কিছু নতুন পরিয়ায়ী পাখির দেখা পাওয়া গেছে তিস্তায়। নদীর পরিবেশ প্রকৃতি পাখিদের অনুকূলে থাকায় তিস্তাকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করছে এই পাখিগুলো।  নদীতে শামুক, জলজ পোকামাকড় এসব পাখির খাদ্য। তিস্তায় এসব খাদ্য পাওয়া যায় বলে এখানে বিচরণ করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে পাখিগুলো। তিস্তায় যেন পাখির নির্ভয় বিচরণ ক্ষেত্রে করা যায় এজন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করছে প্রকৃতি প্রেমিরা। সসুদূর সাইবেয়িা,মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ চীন, লাদাখ থেকে এসব পাখি আসছে। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির দুর্লভ হাঁস, ছোটকান প্যাচা,লম্বাপা তিসাবাজ,জিরিয়া, টিটি, মনকান্ড, চখাচখিসহ কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫৫ প্রজাতির পাখির দেখা মিলে তিস্তায়। গত ২ ডিসেম্বর ছবি ও পাখির খোঁজে দিনভর তিস্তার বুকে ছিলেন সৌখিন আলোকচিত্রী  কবি ও লেখক রানা  মাসুদ, ফটো সাংবাদিক রঞ্জিত দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আলহাজ্ব আলমগীর হোসেন  এবং রংপুর চেম্বারের পরিচালক হাসান মাহবুব আখতার লোটনসহ কয়েকজন।  তাদের ক্যামেরায় উঠে আসে তিস্তার কিছু পরিযায়ী পাখির  বিচরণের চিত্র। আলোকচিত্রী  কবি ও লেখক রানা  মাসুদ বলেন, প্রতিবছরই  দুলর্ভ পাখি দেখতে এবং পাখির ছবি তুলতে তিস্তাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাই। এবার তিস্তায় গত বছরের চেয়ে বেশি পাখির আগমন ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি প্রাণ ও প্রকৃতিকে রক্ষা করতে ছুঁয়ে যাক সকলের অন্তরে প্রকৃতি প্রেম এমনটা আশা করেন।