স্টাফ রিপোর্টার॥ গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে নিহত শিক্ষার্থী রংপুরের মুবতাসিম রহমান মাহিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার বাদ যোহর করিমিয়া নূরুল উলুম মাদ্রাসা মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাহিনের পরিবারের স্বজন, স্কুল-কলেজের বন্ধুসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। এরপর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে শনিবার দিবাগত রাত দেড়টারদিকে গাজীপুর থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে মাহিনের মরদেহ নগরীর জুম্মপাড়ার বাসায় আনা হয়। তার মরদেহ দেখতে পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসী। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মাহিনের বাবা-মা। এ সময় বিদ্যুৎ বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে মাহিনের মৃত্যুর হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মাহিনের স্বজনরা।
মাহিনের চাচা হাসান রহমান বলেন, পরিবারের একটা দামী জীবন চলে গেছে।ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয় পাঠালাম লেখাপড়া করতে, সে ফিরলো লাশ হয়ে। বিদ্যুৎবিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে অকালে আমাদের সন্তানদুনিয়া থেকে চলে গেলো। আমি দায়ীদের বিচার দাবী করছি।
মাহিনের চাচাতো ভাই ইমতিয়াজ রহমান বলেন, মাহিন ভাই ভাল মানুষ ছিলেন।তিনি সবার প্রিয় এবং কারো সাথে কখনো দূর্ব্যবহার করেননি। আমরা ভাইকেঅনেক মিস করবো। দোয়া করি আমার ভাইয়ের মত এমন মৃত্যু যেন কারো না হয়। উল্লেখ্য, রংপুর নগরীর জুম্মাপাড়ার বাসিন্দা ব্যাংকার শাহীন ইমতিয়াজুর রহমানেরছেলে মুবতাসিম মাহিম। সে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিরতৃতীয় বর্ষের লেখাপড়া করতো। দুই ভাইয়ের মধ্যে মাহিম বড় ছেলে ছিল। শনিবারগাজিপুরে পিকনিক যাওয়ার পথে উ”চশক্তি সম্পন্ন বিদ্যুতের তার বাসে লাগলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মারা যান মাহিনসহ ৩ শিক্ষার্থী।