নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। আলুর দাম চড়া হওয়ায় তাদের মুখে হাঁসি ফুটেছে। আলু বিক্রি করে পরিবারের অভাব মোচন করবেন বলে জানান কৃষকেরা। চাষিরা আগাম জাতের আমন ধান কেটে সেই জমিতে আশ্বিন মাসের শুরুতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনের উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলুর বীজ বুনেন। মাঠগুলোয় আগাম আলু তোলার ধুম চলছে। আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত বেশি লাভবান হবেন। আর মৌসুমের শুরুতে নতুন আলু ভোক্তার নিকট দিতে পেরে তারা আনন্দিত। চড়া বাজার মূল্য পেয়ে দিগুন লাভবান হবেন বলে জানান কৃষকেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,উপজেলার রনচন্ডি কুটি পাড়া ব্লকের শাহিন ইসলাম আগাম আলু তোলার উৎসবে মেতে উঠেছে।তিনি মাঠের আলু উত্তোলন করে মাঠে বিক্রি করছেন ৯০ টাকা কেজি দরে।
কৃষক আসাদুল বলেন,আশ্বিনের শুরুতে ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান কাটার পর আগাম আলুর বীজ লাগাই। ৫১ দিন বয়সে আলু তুলতে শুরু করি। এবার আলুর চড়া দাম পেয়ে আমার পরিবারের মুখে হাঁসি ফুটেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে আমার প্রায় দেড় লক্ষাধীক টাকা লাভ হবে।
একই ব্লকের আলুচাষি হারুন অর রশীদ বলেন, অধিক লাভের আশায় এবার আমি আগাম জাতের আলু ৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো হয়েছে। দাম ও অনেক চড়া। আমার কষ্টের সফলতা এবার আসবে। আগামী বছর আমি আরও বেশী আলু চাষ করবো। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমার পরিবারের সকল চাহিদা এবার মেটাতে পারবো।
স্থানীয় একাধিক কৃষক জানান, ইতিমধ্যে টুকটাক আলু তোলা শুরু হয়েছে।আর কদিন গেলে ৯টি ইউনিয়নের দিগন্তভরা মাঠগুলোতে আলু তোলার মহোৎসব শুরু হবে। এবার দাম চড়া হওয়ায় কৃষকদে মনে অনেক আনন্দ বইছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন,চলতি বছর ৬ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকেরা আমন ধান কেটে আগাম আলু চাষ করেছেন।মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাঠে মাঠে আগাম আলু তোলার উৎসব শুরু হয়েছে।