1:23 am, Saturday, 23 November 2024

নীলফামারীতে ট্রেনের ব্রেক ফেল বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:27:28 pm, Friday, 22 November 2024
  • 1 Time View

নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর ডোমার রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়ার আগে ‘ব্রেক ফেল’ করে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। এতে প¬্যাটফর্মে না থেমে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে থামে ট্রেন। এতে দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে ডোমার রেল স্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটে।

ডোমার রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ডোমার পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় থাকলেও কিছুক্ষন বিলম্ব হওয়ায় ৭.৪২ মিনিটে ডোমার রেল স্টেশনে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুত গতিতে থাকা ট্রেনটি প¬্যাটফর্মে না থেমে সামনে চলে যায়। এক পর্যায়ে স্টেশনের প¬্যাটফর্ম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটি থামে। পরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার উল্টো পথে প¬্যাটফর্মে আসে।

চিলাহাটি থেকে ডোমারে ট্রেনে আসা মোতালেব হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ডোমার বাজার রেলগেট অতিক্রম করার পর প¬াটফর্মে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু প¬াটফর্মের কাছাকাছি এসেও স্বাভাবিক গতি ছিলোনা ট্রেনের। এতে আমরা কয়েকজন যাত্রী একটু ভয় পাই। পরে মনে হয়েছিল ট্রেনের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। পরে ট্রেনটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। পরে জানতে পারি ট্রেনটি ব্রেক ফেল করেছে।

আব্দুর রহিম নামে প¬াটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, সৈয়দপুর যাওয়ার জন্য দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে দুই নম্বর প¬্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্টেশনে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে প¬্যাটফর্মে এসে ট্রেনটি থামবে। ট্রেন এলো, কিন্তু থামল না। হঠাৎ অনেকে এমন দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেছে।

ট্রেনটির চালক আসাদুজ্জামান খান ও গার্ড হুমায়ুন কবীর খান জানান, সাধারন ব্রেক কাজ না করায় স্টেশন ছেড়ে অনেকদূর গিয়ে জরুরী ব্রেক ধরে ট্রেনটি থামানো হয়। এতোক্ষনে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে আসে। পরে ট্রেনের ব্রেক ঠিক করে আবার উল্টো পথে ডোমার স্টেশনে ফিরে আসতে হয়। এরপর রাত ৮টায় ডোমার রেল স্টেশন থেকে রওনা করে ট্রেনটি।

ডোমার রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন জানান, ‘আমরা মাইকে বরাবরের মতো ঘোষনা দিচ্ছিলাম স্টেশনের এক নম্বর প¬্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথা। কিন্তু ব্রেক ফেল হওয়ায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। এসময় যাত্রীদের সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে যাত্রী তোলে। এরপর যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি রাত ৮টায় রওনা দেয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকায় কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

নীলফামারীতে ট্রেনের ব্রেক ফেল বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী

Update Time : 05:27:28 pm, Friday, 22 November 2024

নীলফামারী প্রতিনিধি॥ নীলফামারীর ডোমার রেল স্টেশনে যাত্রা বিরতি দেয়ার আগে ‘ব্রেক ফেল’ করে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি। এতে প¬্যাটফর্মে না থেমে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে থামে ট্রেন। এতে দূর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮ টার দিকে ডোমার রেল স্টেশনে এ ঘটনাটি ঘটে।

ডোমার রেল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটে ডোমার পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় থাকলেও কিছুক্ষন বিলম্ব হওয়ায় ৭.৪২ মিনিটে ডোমার রেল স্টেশনে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুত গতিতে থাকা ট্রেনটি প¬্যাটফর্মে না থেমে সামনে চলে যায়। এক পর্যায়ে স্টেশনের প¬্যাটফর্ম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে ট্রেনটি থামে। পরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আবার উল্টো পথে প¬্যাটফর্মে আসে।

চিলাহাটি থেকে ডোমারে ট্রেনে আসা মোতালেব হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ডোমার বাজার রেলগেট অতিক্রম করার পর প¬াটফর্মে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু প¬াটফর্মের কাছাকাছি এসেও স্বাভাবিক গতি ছিলোনা ট্রেনের। এতে আমরা কয়েকজন যাত্রী একটু ভয় পাই। পরে মনে হয়েছিল ট্রেনের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। পরে ট্রেনটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। পরে জানতে পারি ট্রেনটি ব্রেক ফেল করেছে।

আব্দুর রহিম নামে প¬াটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক যাত্রী বলেন, সৈয়দপুর যাওয়ার জন্য দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে দুই নম্বর প¬্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্টেশনে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে প¬্যাটফর্মে এসে ট্রেনটি থামবে। ট্রেন এলো, কিন্তু থামল না। হঠাৎ অনেকে এমন দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেছে।

ট্রেনটির চালক আসাদুজ্জামান খান ও গার্ড হুমায়ুন কবীর খান জানান, সাধারন ব্রেক কাজ না করায় স্টেশন ছেড়ে অনেকদূর গিয়ে জরুরী ব্রেক ধরে ট্রেনটি থামানো হয়। এতোক্ষনে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে আসে। পরে ট্রেনের ব্রেক ঠিক করে আবার উল্টো পথে ডোমার স্টেশনে ফিরে আসতে হয়। এরপর রাত ৮টায় ডোমার রেল স্টেশন থেকে রওনা করে ট্রেনটি।

ডোমার রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন জানান, ‘আমরা মাইকে বরাবরের মতো ঘোষনা দিচ্ছিলাম স্টেশনের এক নম্বর প¬্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথা। কিন্তু ব্রেক ফেল হওয়ায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। এসময় যাত্রীদের সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে যাত্রী তোলে। এরপর যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি রাত ৮টায় রওনা দেয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এলাকায় কেউ ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি।