নীলফামারী প্রতিনিধি॥ “অন্তর্র্বতীকালীন সরকার মিথ্যা আশ্বাস দিতে চায় না” মন্তব্য করে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, “আমরা অন্তর্বতীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করছি। আমরা কিন্তু ভোটেও দাঁড়াবো না। তাই আমরা (অন্তবর্তীকালীন সরকার) আপনাদের মিথ্যা আশ্বাস দিতে চাই না। বাসা বাড়িতে গ্যাস সংযোগ প্রদান করা হবে না।
বরং আমাদের কাছে দাবি আছে যেসব বাসা বাড়িতে ইতিমধ্যে গ্যাস সংযোগ দেওয়া আছে সেগুলো এখন বন্ধ করার। শিল্প কারখানাগুলোতেও গ্যাস সংযোগ দেওয়ার ব্যাপারেও একই কথা। এ জন্য আমি এই মিথ্যা আশ্বাস দেব না। আমরা গ্যাসের জন্য অনেক কুপ খনন করছি সেখানে যদি আমরা একটি বড় ডিপোজিট পাই তাহলে শিল্প কারখানার বিষয় ভাবা যাবে।”
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকালে নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সম্মেলন কক্ষে রংপুর- দিনাজপুর অঞ্চলের বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, ২০১০ সালে বিদ্যুৎ ও জ্বালানীর দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য বিশেষ আইন করে বিগত সরকার বিদ্যুত বিভাগে দূর্নীতি করার সুযোগ করে দিয়েছে। ইতোমধ্যে সেই আইন উপদেষ্টা পরিষদ পুরোপুরি বাতিল করেছে। যে সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, আদালতের আদেশে তাদের মাফ করার কথা বলা হয়েছে। তবে দূর্নীতি ও অনিয়ম হলে সরকার চাইলে তা পূনঃপরীক্ষা করতে পারবে।
রেলের জমি উদ্ধারের বিষয়ে তিনি বলেন, সারা দেশে রেলের অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে অভিযান চলছে। খুব শীঘ্রই সৈয়দপুর রেলওয়ের বেদখল হওয়া জমিও উদ্ধার করা হবে। সেই সঙ্গে রেলের জমি ব্যবহার করে কাজে লাগাতে হবে।
এছাড়াও বিদ্যুতের সমস্যা সমাধানের জন্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেশী গুরুত্ব দেওয়া, গ্রাহক হয়রানী ও দূর্নীতি কমানোর উপর জোড় দিয়ে কর্মকর্তাদের সজাগ থাকার নির্দেশ দেন উপদেষ্টা।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব ফাহিমুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আফজাল হোসেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী বিশ্বনাথ শিকদার ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আবু রায়হান, নীলফামারী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম সহ রংপুর, দিনাজপুর ও নীলফামারীর আরইবি ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তারাগন উপস্থিত ছিলেন।