স্টাফ রিপোর্টার॥ সারা দেশের ন্যায় রংপুরেও বিভিন্ন ব্যস্ত রাস্তা সহজে পারাপারে জন্য তৈরি করা হয় ‘‘ফুটওভার ব্রিজ” বা পথাচারী পারাপার সেতু। যা ব্যবহার করে সাধারন পথাচারীরা নিরাপদে রাস্তা ক্রস করতে পারেন।কিন্তু রংপুর নগরীতে ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়ে যে যার মতো রাস্তা পার হচ্ছেন। অথচ পাশেই খাঁ খাঁ করছে শূন্য ফুটওভার ব্রিজ। সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই। দৃশ্য দেখে মনে হয়, এসব ফুটওভার ব্রিজ যেন শোপিস। ব্যবহার করতে নেই, কেবল সাজিয়ে রাখার জন্য নির্মিত।
ফুটওভার ব্রিজ রেখে রাস্তা পার হচ্ছেন কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এক পথচারী বলেন, ‘তাড়া আছে, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারের সময় নাই। তাই দৌড়াইয়া রাস্তা পার হইতাছি’।
রংপুর নগরীতে রয়েছে হাতে গোনা কয়েকটি ফুটওভার ব্রিজ।এগুলোর মধ্যে রংপুর সিটি বাজার, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, মেডিকেল মোড়ে অবস্থিত ফুটওভার ব্রিজগুলো উল্লেখযোগ্য। তবে কাছেই এসব ব্রিজ থাকলেও সামান্য সময় কমাতে প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিচ দিয়েই সড়ক পার হচ্ছেন শত শত পথচারী। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে এগুলো নির্মাণ করা হলেও সাধারণ পথচারীরা ব্যবহার করছেন না। অধিকাংশ সময় দেখা যায়, পথচারীরা ১ বা ২ মিনিট সময় বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাশেই সড়ক দিয়ে দৌড়ে পার হচ্ছেন।
রংপুর সিটি বাজারে সামনের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে দৌড়ে সড়ক পার হচ্ছিলেন ৬২ বছর বয়সী হাজেরা খাতুন। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার বয়স অনেক বেশি। ব্রিজে উঠতে পারি না।’
রংপুর মেডিকেল মোড়ের সামনের ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে রাস্তা দিয়ে পাড় হচ্ছিলেন ছাত্র লিমন,কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে হঠাৎ জরুরি কাজের জন্য ফোন আসে। তাই ফুটওভার ব্রিজে না উঠে মহাসড়কে পার হয়েছি।’ প্রতি দিন প্রতি মুহূর্তেই এমন চিত্র দেখা যায়। সবাই তাড়াহুড়ার কারণেই ব্রিজে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে একজন সচেতন নাগরিক বলেন, রাস্তা পারাপার হতে গিয়ে রংপুরে তথা সারা দেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও দুর্ঘটার স্বীকার হচ্ছেন পথচারীরা। কেউ হচ্ছেন পঙ্গু, আবার কেউ হারাচ্ছেন হাত-পা। কেউ আবার পাড়ি জমান পরদেশে। সচেতনতার অভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই রাস্তা পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহারে জনসচেতনতা বাড়াতে রংপুর সিটি করপোরেশনকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান তিনি ।