স্টাফ রিপোর্টার॥ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে তিনদিনের রিমান্ডে দিয়ে আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আসাদুজ্জামান এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসপি জাকির হোসেন ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।
সোমবার রাতে পিবিআই পুলিশ তাকে তাজহাট এলাকা থেকে গ্রফতার করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় নতুন ৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। তার মধ্যে সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম রয়েছেন।
শহীদ আবু সাঈদের ভাই মোঃ রমজান আলীর দায়ের করা হত্যা মামলায় গত ১৪ অক্টোবর আদালতে দরখাস্ত করা হলে দাখিলকৃত ছবি ও সিসি টিভি ফুটেজ জব্দ করে ও গ্রহণের আদেশ প্রদানের আবেদন করা হয়। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতের বিচারক মোঃ আসাদুজ্জামান নতুন সাত আসামী অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন মঞ্জুর করেন। নতুন অন্তভুক্ত আসামীরা হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য) ডঃ হাসিবুর রশিদ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা) মোঃ শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, বেগম রোকেয়া বিশ্বদ্যালয় এর চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা (এমএলএসএস) নূরুন্নবী, সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ তরিকুল ইসলাম, সুরতাহাল রিপোর্ট এর প্রতিস্বাক্ষরকারী ম্যাজিস্টেট আহমেদ সাদাত। আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম,পুলিশের এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়সহ এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ আগষ্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে পুলিশকে গুলি করতে নির্দেশনা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। উল্লেখ গত ১৬ জুলাই বৈষমবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রংপুরে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে আবু সাঈদসহ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমনে পুলিশের পাশাপাশি অংশ নেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। পিবিআই পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বলেন গ্রেফতারকৃত আসামীর ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এপর্যন্ত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।