3:57 pm, Thursday, 21 November 2024

অনির্বাচিত সরকারের ভিন্ন দিকে যাওয়ার ভয় মির্জা ফখরুলের

  • Reporter Name
  • Update Time : 05:01:13 pm, Tuesday, 19 November 2024
  • 2 Time View

ঢাকা: বিএনপি নির্বাচিত হলে একা দেশ চালাবে না। সবাইকে নিয়ে দেশ চালাবে। তাহলে ভয় কেন অন্তর্বর্তী সরকারের এমন প্রশ্ন রেখে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিন্ন দিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বলেই শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনির্বাচিত সরকার ভিন্নদিকে চলে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে নির্বাচিত সরকার নেই বলেই অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।

৫ আগস্টের পর প্রায় দিনই দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছেন আন্দোলনকারীরা। সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন তারা। তিন মাস পূর্ণ হতে না হতেই দাবি-দাওয়া ইস্যুতে চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন সময় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করার উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাশাপাশি সরকারকেও একহাত নেন মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দুর্বলতার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর রাজনীতিবিদরা হাসিনাকে ধাক্কা দিতে পারেননি। তাকে প্রতিরোধ করতে পারেননি। বহু বছর আন্দোলন হয়েছে, জেলে যেতে হয়েছে কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনাকে সরানো যায়নি। কিন্তু ফাইনাল খেলায় ছাত্ররা সবশেষ গোলটা দিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও বলেন, অনেকে আছেন অভিজ্ঞ, তারা তাদের স্থানে বিজ্ঞ কিন্তু রাজনীতি ও দেশ পরিচালনা রাজনীতিবিদদের কাজ। রাজনৈতিক বিজ্ঞান বলে কথা আছে, এটা খুঁজতে হবে রাজনীতিবিদদেরই। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতা যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে না। নির্বাচিত সরকার থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এখন নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে, ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, সহিংসতা হচ্ছে এর কারণ নির্বাচিত সরকার নেই বলেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার এখনও স্থিতিশীল হয়নি। তাই বার বার বলা হচ্ছে, নির্বাচন দিন, জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নির্বাচন এতো তারিখে দিতে হবে সেটা বলছি না, বলছি রোডম্যাপ দিন নির্বাচনের। বিএনপি থেকে যে সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তার যেটা গ্রহণ করা প্রয়োজন তা গ্রহণ করে অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কার করুন। তিনি বলেন, কথা নাই বার্তা নাই, নানা দাবি দাওয়া তুলছে মানুষ। স্বৈরাচার সরকার যখন পায়ের নিচে দাবিয়ে রেখেছিল সবাইকে, তখন এত দাবি কোথায় ছিল? নির্বাচিত সরকার নাই বলেই যত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই নির্বাচন দিন, কমিশন সংস্কার করুন, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হন্তান্তর করুন। সরকারের অনেকেই আছেন, যারা অনেক কথা বলছেন, কথা না বলে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। বিএনপি নির্বাচিত হলে একা দেশ চালাবে না, সবাইকে নিয়ে দেশ চালাবে। তাহলে ভয় কেন এ সরকারের? ভিন্ন দিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বলেই শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাই এ সরকারকে বলছি দেশে নির্বাচিত সরকার নেই বলেই অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাই। তিনি ফের বলেন, বিএনপি চায় না শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসুক। তবে রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতাগুলো শুনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে রোডম্যাপ দিন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মমতাজ শিরীন ভরসার শোক প্রকাশ

অনির্বাচিত সরকারের ভিন্ন দিকে যাওয়ার ভয় মির্জা ফখরুলের

Update Time : 05:01:13 pm, Tuesday, 19 November 2024

ঢাকা: বিএনপি নির্বাচিত হলে একা দেশ চালাবে না। সবাইকে নিয়ে দেশ চালাবে। তাহলে ভয় কেন অন্তর্বর্তী সরকারের এমন প্রশ্ন রেখে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভিন্ন দিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বলেই শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনির্বাচিত সরকার ভিন্নদিকে চলে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে নির্বাচিত সরকার নেই বলেই অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।

৫ আগস্টের পর প্রায় দিনই দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথে নেমে আসছেন আন্দোলনকারীরা। সড়ক অবরোধ থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খালা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াচ্ছেন তারা। তিন মাস পূর্ণ হতে না হতেই দাবি-দাওয়া ইস্যুতে চাপের মুখে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিভিন্ন সময় রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করার উদ্দেশ্যে নিয়ে প্রশ্ন তুলে পাশাপাশি সরকারকেও একহাত নেন মির্জা ফখরুল। মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক দুর্বলতার কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর রাজনীতিবিদরা হাসিনাকে ধাক্কা দিতে পারেননি। তাকে প্রতিরোধ করতে পারেননি। বহু বছর আন্দোলন হয়েছে, জেলে যেতে হয়েছে কিন্তু স্বৈরাচার হাসিনাকে সরানো যায়নি। কিন্তু ফাইনাল খেলায় ছাত্ররা সবশেষ গোলটা দিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও বলেন, অনেকে আছেন অভিজ্ঞ, তারা তাদের স্থানে বিজ্ঞ কিন্তু রাজনীতি ও দেশ পরিচালনা রাজনীতিবিদদের কাজ। রাজনৈতিক বিজ্ঞান বলে কথা আছে, এটা খুঁজতে হবে রাজনীতিবিদদেরই। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতা যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে না। নির্বাচিত সরকার থাকলে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এখন নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি করা হচ্ছে, ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে, সহিংসতা হচ্ছে এর কারণ নির্বাচিত সরকার নেই বলেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ সরকার এখনও স্থিতিশীল হয়নি। তাই বার বার বলা হচ্ছে, নির্বাচন দিন, জনগণের সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। নির্বাচন এতো তারিখে দিতে হবে সেটা বলছি না, বলছি রোডম্যাপ দিন নির্বাচনের। বিএনপি থেকে যে সংস্কার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, তার যেটা গ্রহণ করা প্রয়োজন তা গ্রহণ করে অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কার করুন। তিনি বলেন, কথা নাই বার্তা নাই, নানা দাবি দাওয়া তুলছে মানুষ। স্বৈরাচার সরকার যখন পায়ের নিচে দাবিয়ে রেখেছিল সবাইকে, তখন এত দাবি কোথায় ছিল? নির্বাচিত সরকার নাই বলেই যত সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই নির্বাচন দিন, কমিশন সংস্কার করুন, নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হন্তান্তর করুন। সরকারের অনেকেই আছেন, যারা অনেক কথা বলছেন, কথা না বলে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। বিএনপি নির্বাচিত হলে একা দেশ চালাবে না, সবাইকে নিয়ে দেশ চালাবে। তাহলে ভয় কেন এ সরকারের? ভিন্ন দিকে যাওয়ার অভিজ্ঞতা আছে বলেই শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। তাই এ সরকারকে বলছি দেশে নির্বাচিত সরকার নেই বলেই অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। সংকট সমাধানে নির্বাচিত সরকারের কাছে দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানাই। তিনি ফের বলেন, বিএনপি চায় না শেখ হাসিনা বা আওয়ামী লীগ আবার ফিরে আসুক। তবে রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতাগুলো শুনে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনে রোডম্যাপ দিন।