4:15 pm, Thursday, 21 November 2024

উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বললেন তমা মির্জা

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:29:54 am, Thursday, 14 November 2024
  • 0 Time View

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী এ আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে সক্রিয় ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন। কয়েক দিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বলা যায়, ফারুকী যেমন অনেকটা চমক দেখিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা নিয়েছেন, সঙ্গে শিল্পীদের দিক থেকে বাড়িয়েছেন প্রত্যাশাও। দেশের শোবিজ অঙ্গন থেকে একের পর এক উষ্ণ বার্তা পেয়ে যাচ্ছেন ফারুকী। বিভিন্ন নাট্যাভিনেতা, চলচ্চিত্রশিল্পী ও পরিচালকেরাও ফারুকীর এই নতুন যাত্রার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিনশেষে তাদের আশার সঞ্চার এই যে, অন্তত এবার ভালো কিছু হবে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই নির্মাতা বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের যেমন শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানা ধরনের চর্চাও চলছে। এরই মাঝে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে মতামত জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘সুড়ঙ্গ’খ্যাত অভিনেত্রী তমা মির্জা। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়ে তমা বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনও ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি।’ সরকারের কাছে ফারুকী তাদের ভাল-মন্দ তুলে ধরবেন বলেও আশা করেন অভিনেত্রী। তার ধারণা, এতে দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির জন্যেও আসতে পারে সুখবর। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের সমস্যার সমাধান রাখতে পারবেন কী না ফারুকী, এমন প্রশ্নও রাখা হয় নায়িকাকে। সমস্যার বিষয়টি অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে পড়শি দেশে যেতে হবে, এমন কথা নেই। পড়শি ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।’ তমা আরও জানান, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয় জট কাটিয়ে যেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

মমতাজ শিরীন ভরসার শোক প্রকাশ

উপদেষ্টা ফারুকীকে নিয়ে যা বললেন তমা মির্জা

Update Time : 11:29:54 am, Thursday, 14 November 2024

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈষম্যবিরোধী এ আন্দোলনের শুরু থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণভাবে সক্রিয় ছিলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও সেই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখেন। কয়েক দিন আগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। বলা যায়, ফারুকী যেমন অনেকটা চমক দেখিয়ে উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা নিয়েছেন, সঙ্গে শিল্পীদের দিক থেকে বাড়িয়েছেন প্রত্যাশাও। দেশের শোবিজ অঙ্গন থেকে একের পর এক উষ্ণ বার্তা পেয়ে যাচ্ছেন ফারুকী। বিভিন্ন নাট্যাভিনেতা, চলচ্চিত্রশিল্পী ও পরিচালকেরাও ফারুকীর এই নতুন যাত্রার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। দিনশেষে তাদের আশার সঞ্চার এই যে, অন্তত এবার ভালো কিছু হবে দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে। দায়িত্ব গ্রহণের পর এই নির্মাতা বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের যেমন শুভেচ্ছা বার্তা পেয়েছেন, তেমনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাকে নিয়ে নানা ধরনের চর্চাও চলছে। এরই মাঝে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে মতামত জানালেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘সুড়ঙ্গ’খ্যাত অভিনেত্রী তমা মির্জা। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকীকে অভিনন্দন জানিয়ে তমা বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, বিনোদন দুনিয়ার কোনও ব্যক্তি যদি বিষয়টি বোঝেন, তা হলে তিনি যোগ দিতেই পারেন। সেই জায়গা থেকে ফারুকী ভাই উপযুক্ত ব্যক্তি।’ সরকারের কাছে ফারুকী তাদের ভাল-মন্দ তুলে ধরবেন বলেও আশা করেন অভিনেত্রী। তার ধারণা, এতে দুই বাংলার ইন্ডাস্ট্রির জন্যেও আসতে পারে সুখবর। কিন্তু ভিসা জটিলতায় ভারত-বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের সমস্যার সমাধান রাখতে পারবেন কী না ফারুকী, এমন প্রশ্নও রাখা হয় নায়িকাকে। সমস্যার বিষয়টি অস্বীকার করেননি অভিনেত্রী তমা মির্জা। এ প্রসঙ্গে তার বক্তব্য, ‘ভিসা জটিলতায় আমি নিজেও ভুগছি। সব সময় কাজের জন্যই যে পড়শি দেশে যেতে হবে, এমন কথা নেই। পড়শি ভারতেও অনেক বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। ইচ্ছে করে, তারা আসুন বা আমরা তাদের কাছে যাই। এই জায়গাটা অনেক দিন ধরেই বন্ধ।’ তমা আরও জানান, যোগাযোগের এই মাধ্যমের যাবতীয় জট কাটিয়ে যেন দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। যাতে দুই বাংলার মানুষ আবার আগের মতো কাজের পাশাপাশি বন্ধুত্বের কারণেও দুই দেশে যাতায়াত করতে পারেন।