স্টাফ রিপোর্টার: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা হারাধন হারার স্ত্রীর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারে ১২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্য রিরোধী ছাত্রআন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। শনিবার রাত ৯টায় মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানার ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন ছাত্র নেতৃবৃন্দ। সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। ওই দিন হারাধন রায় হারা নিজেই পিস্তল দিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়েছে। ছাত্র-জনতার সাথে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা মারা যান। এ ঘটনায় হারাধন রায়ের স্ত্রী কনিকা রানী গত ২ অক্টোবর মেট্রোপলিটনকোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেখানে আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জন জনতাকে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মধ্যে আমরাও ছিলাম। তাই জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে মাঠে থাকা ছাত্র-জনতা এ মামলার আসামী হবে। যারা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের নামে স্বাধীন দেশে কোন মামলা হতে পারে না। আগামী ১২ঘন্টার মধ্যে মামলা প্রত্যাহারসহ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামীরা গ্রেফতার না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচী ঘোষণা করবো। সেই সাথে আমাদের সরকার যদি এ সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় তবে প্রয়োজনে তাদেরকেও আমরা নামাবো। সেইসাথে রবিবার সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচী দেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট দুপুরে সুপার মার্কেট থেকে সিটি বাজার পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী সশস্ত্রহামলা চালায়। এতে পরশুরাম থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৪নং ওয়ার্ড সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর হারাধন রায় হারা, তার দেহরক্ষী ভাগ্নে সবুজ (৩০), কাউনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মাহমুদুল হাসান মুন্না (৩০) ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খাইরুল আলম সবুজ (২৮) মারা যান। নিহত হারাধনের স্ত্রী কনিকা রানী (৩৯) গত ২ অক্টোবর রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয় রংপুর সিটি করপোরেশনের ৪নং ওয়ার্ডের তিন বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও পরশুরাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি ছিল। গত ৪ আগস্ট অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ বিক্ষুব্ধ জনতা ও আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীগণ পিছু হটলে অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ বিক্ষুব্ধ জনতা আমার স্বামী হারাধন রায় হারা ও ফাত্তা সবুজকে বেতপট্টিতে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে।