এস আই সবুজ পাটগ্রাম প্রতিনিধি: সরাসরি বুড়িমারী টু ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন পরিষদ এ-র পক্ষ থেকে
বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি বুড়িমারী থেকে সরাসরি চলার দাবিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বরাবরে স্মারক লিপি প্রদান করা হয়েছে। ১৫/১০/২০২৪ ইং রোজ মঙ্গলবার দুপুরে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচএম রাকিব হায়দারে নিকট এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারক লিপিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ১৩ বছর আগের প্রতিশ্রুতিতে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেন চালু না হওয়ায় গত বছর ২০২৩ এর শুরু থেকে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু হয়। গতবছরের ২৮ শে মে লালমনিরহাট জেলা সমিতি (ঢাকা)
সহ চার উপজেলার জনগণ রেলমন্ত্রী বরাবর দাবি সম্মিলিত স্মারকলিপি লালমনিরহাট রেল বিভাগীয় ব্যবস্থাপকের মাধ্যমে
প্রদান করায় এক পর্যায়ে ট্রেনটি “বুড়িমারী এক্সপ্রেস” নামে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলের এম.পি-মন্ত্রী ও পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের
মহাব্যবস্থাপক জনাব অসিম কুমার তালুকদারের উপস্থিতিতে গত ১২মার্চ ২০২৪ বুড়িমারী রেলষ্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনি অনুষ্ঠানে তিন মাসের মধ্যে বুড়িমারী ষ্টেশনের অবকাঠামো উন্নয়ন শেষ করে বুড়িমারী ষ্টেশন থেকে সরাসরি চালু করার ঘোষনা দেয়া হলেও আট মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও তা অসম্পূর্ণ রেখে শাটল ট্রেনভিত্তিক লালমনিরহাট হতে চলাচল শুরু করে, যা লালমনি এক্সপ্রেসের আদলে। গোটা জেলাটি একই লাইনে চারটি উপজেলাকে নিয়ে গঠিত হলেও ট্রেন দুটির সুবিধা থেকে বঞ্চিত চার উপজেলার জনগণ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর দাবি আন্দোলনের পরেও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় গত ১২ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে বিক্ষুব্ধ জনগণ করতোয়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রায় দেড় ঘন্টা যাবত হাতীবান্ধা রেলষ্টেশনে দাঁড় করিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করলে এক পর্যায়ে রেলের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মুঠোফোনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ আবারো তিন মাসের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ায় উক্ত দিবসের কর্মসূচী স্থগিত করা হয়। এরই মধ্যে একমাস অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত বুড়িমারী রেলষ্টেশনের অবকাঠামোর কোন কাজ শুরু করা হয়নি, এদিকে ট্রেন চলাচলের সুবিধা অসুবিধা প্রসঙ্গে পশ্চিমাঞ্চল রেল ব্যবস্থাপক মতামত জানতে চিঠি পাঠান লালমনিরহাট বিভাগীয় রেল ব্যবস্থাপক জনাব আব্দুস সালাম এর কাছে। কিন্তু
সে সময় তিনি (নেগেটিভ) না সূচক অনুপযোগী জবাব দেয়ায় সমস্যাটি তেমনি রয়ে যায়। উক্ত রেল ব্যবস্থাপক লালমনিরহাট,
অদ্যাবধী বহাল তবিয়তে লালমনিরহাটে দীর্ঘকাল ধরে অবস্থান করায় তাকে অপসারণের দাবিতে লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার জনগণ মানববন্ধনও করেছেন।
শেষে এ সকল বিষয়ে বৈষম্যবিহীন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের সদয় অনুগ্রহ ও কামনা করেন তারা।
স্মারক লিপি প্রদান করেন কমরেড শওকত হোসেন আহমেদ (প্রধান সমন্বয়ক) সাংবাদিক মোঃ ফারুক হোসেন,মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ ফিরোজ হোসেন, দীপ্ত রায়, লেবু চৌধুরী, মোঃ সাইফুল ইসলাম সবুজ সাধারন সম্পাদক প্রেসক্লাব পাটগ্রাম ও দৈনিক ভোরের কাগজ ও দৈনিক যুগের আলো,আব্দুস সামাদ দৈনিক নতুন দিন আজিজুল হক দুলাল,দৈনিক ইত্তেফাক ও খোলা কাগজ আদিতমারী প্রতিনিধি রেজাউল করিম রাজ্জাক।