6:10 am, Sunday, 24 November 2024

ঝকঝকে নগরী দেখতে পোস্টার ও ব্যানার মুক্ত চান নগরবাসি

  • Reporter Name
  • Update Time : 06:09:48 pm, Thursday, 12 September 2024
  • 10 Time View

স্টাফ রিপোর্টার॥ রংপুর নগরীর বিভিন্নস্থানে প্রতিনিয়ত পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর প্রতিযোগিতা চলছেই। পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর কারনে নগরী তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য ঠিক রাখতে পোস্টার ও ব্যানার লাগানো বন্ধ করা উচিত। এমন মন্তব্য করছেন চলাচলকারী কতিপয় সাধারণ মানুষ। তবে সিটি করপোরেশন বলছেন ব্যানার-সাইনবোর্ড থেকে রাজস্ব আয়  আসে। জানা যায়, ২০১২ সালে সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ সিটির আয়তন ২০৫ বর্গকিলোমিটারে। যার ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩টি আর লোকসংখ্যা প্রায় দশলাখ। এক যুগ আগে থেকে সিটিতে লোকসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয় ব্যস্ততম বিভিন্ন স্থানের দেয়ালে। অনেক সময় পোস্টার সাঁটানোর জন্য নগরীর রোড ডিভাইডারের খুঁিটসহ অন্যসব খুঁটিও বেছে নেয়া হয়। এসব পোস্টার দিনে- রাতে সাঁটানো হয়ে থাকে। পোঁস্টার সাঁটানো নিয়ে অনেকের ক্ষোভের শেষ নেই। সেসব পোস্টারে মাঝে- মধ্যে-  হারবাল কোম্পানির পোস্টারও দেখা যায়। পোস্টারের বিজ্ঞাপনের ভাষা ভালো না হওয়ায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ বিব্রতবোধ করেন। বিশেষ করে ছোট সন্তান সাথে থাকলে আরো বেশি বিপাকে পড়েন- সেসব পোস্টারের  লেখা বিষয়ে। কারন ছোটরা  সেসব পড়ে জানতে চায়। চলাচলকারী কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে। তারা বলছেন- তিলোত্তমা নগরী গড়তে প্রধান অন্তরায় পোস্টার ও ব্যানার। এদিকে নগরীর লালবাগ, সিটি বাজার এলাকা, মেডিকেল মোড় এলাকা, সাতামাথা, মর্ডান মোড়,  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় মোড় ও টার্মিনালসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।  আকারে ছোট থেকে শুরু করে- বড় সাইজের ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলাচ্ছেন ব্যবসায়িরা বলছেন-পথচারীরা। তারা আরো জানান, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলানোর জন্য কোচিং সেন্টারের মালিকরা বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের মোড়সহ বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড়। আর ব্যবসায়িরাও বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড় বেছে নিচ্ছেন।  অনেক সময় এসব ব্যানারের কারনে বিভিন্ন যানবাহন চালকরাও নানাভাবে বিড়ম্বার শিকার হন।  বিজ্ঞমহলের অনেকেই বলছেন- নানা ঐতিহ্যে ভরপুর হলো এ নগরী।  বিভাগীয় নগরীর হওয়ার কারনে এখানে আট জেলার মানুষের চলাচল রয়েছে। আরো আছে বিদেশী শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়ার জন্য যাতায়াত। সামনের দিনগুলোতে যদি পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে শহর সয়লাব হয়ে যায় তাহলে বাইরের মানুষগুলো এ নগরীকে নিয়ে ভালো ধারনা পোষণ করবেন না। এ বিষয়ে জানার জন্য সিটির প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মনজুর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- সেসব থেকে রাজস্ব আয় পাওয়া যায় না, সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Popular Post

স্বৈরাচারের সময় ৬০ লাখ নেতাকর্মীর নামে গায়েবি মামলা হয়েছে: তারেক রহমান

ঝকঝকে নগরী দেখতে পোস্টার ও ব্যানার মুক্ত চান নগরবাসি

Update Time : 06:09:48 pm, Thursday, 12 September 2024

স্টাফ রিপোর্টার॥ রংপুর নগরীর বিভিন্নস্থানে প্রতিনিয়ত পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর প্রতিযোগিতা চলছেই। পোস্টার ও ব্যানার লাগানোর কারনে নগরী তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্য ঠিক রাখতে পোস্টার ও ব্যানার লাগানো বন্ধ করা উচিত। এমন মন্তব্য করছেন চলাচলকারী কতিপয় সাধারণ মানুষ। তবে সিটি করপোরেশন বলছেন ব্যানার-সাইনবোর্ড থেকে রাজস্ব আয়  আসে। জানা যায়, ২০১২ সালে সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়েছে। এ সিটির আয়তন ২০৫ বর্গকিলোমিটারে। যার ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩টি আর লোকসংখ্যা প্রায় দশলাখ। এক যুগ আগে থেকে সিটিতে লোকসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পোস্টার সেঁটে দেওয়া হয় ব্যস্ততম বিভিন্ন স্থানের দেয়ালে। অনেক সময় পোস্টার সাঁটানোর জন্য নগরীর রোড ডিভাইডারের খুঁিটসহ অন্যসব খুঁটিও বেছে নেয়া হয়। এসব পোস্টার দিনে- রাতে সাঁটানো হয়ে থাকে। পোঁস্টার সাঁটানো নিয়ে অনেকের ক্ষোভের শেষ নেই। সেসব পোস্টারে মাঝে- মধ্যে-  হারবাল কোম্পানির পোস্টারও দেখা যায়। পোস্টারের বিজ্ঞাপনের ভাষা ভালো না হওয়ায় চলাচলকারী সাধারণ মানুষ বিব্রতবোধ করেন। বিশেষ করে ছোট সন্তান সাথে থাকলে আরো বেশি বিপাকে পড়েন- সেসব পোস্টারের  লেখা বিষয়ে। কারন ছোটরা  সেসব পড়ে জানতে চায়। চলাচলকারী কয়েকজনের সাথে কথা হয়েছে। তারা বলছেন- তিলোত্তমা নগরী গড়তে প্রধান অন্তরায় পোস্টার ও ব্যানার। এদিকে নগরীর লালবাগ, সিটি বাজার এলাকা, মেডিকেল মোড় এলাকা, সাতামাথা, মর্ডান মোড়,  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় মোড় ও টার্মিনালসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।  আকারে ছোট থেকে শুরু করে- বড় সাইজের ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলাচ্ছেন ব্যবসায়িরা বলছেন-পথচারীরা। তারা আরো জানান, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলানোর জন্য কোচিং সেন্টারের মালিকরা বেছে নিচ্ছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের মোড়সহ বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড়। আর ব্যবসায়িরাও বিভিন্ন ব্যস্ততম মোড় বেছে নিচ্ছেন।  অনেক সময় এসব ব্যানারের কারনে বিভিন্ন যানবাহন চালকরাও নানাভাবে বিড়ম্বার শিকার হন।  বিজ্ঞমহলের অনেকেই বলছেন- নানা ঐতিহ্যে ভরপুর হলো এ নগরী।  বিভাগীয় নগরীর হওয়ার কারনে এখানে আট জেলার মানুষের চলাচল রয়েছে। আরো আছে বিদেশী শিক্ষার্থীদের লেখাপাড়ার জন্য যাতায়াত। সামনের দিনগুলোতে যদি পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে শহর সয়লাব হয়ে যায় তাহলে বাইরের মানুষগুলো এ নগরীকে নিয়ে ভালো ধারনা পোষণ করবেন না। এ বিষয়ে জানার জন্য সিটির প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মনজুর সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন- সেসব থেকে রাজস্ব আয় পাওয়া যায় না, সেসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।