অনলাইন ডেস্কঃ নড়াইল সদর হাসপাতালের এক মেডিক্যাল অফিসারের (৩৫) বিরুদ্ধে কর্মচারীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক এর অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে সদর আমলি আদালতে এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সদর হাসপাতালের এক কর্মচারী।
এ মামলায় কর্মচারীর স্ত্রীকেও (২০) আসামি করা হয়েছে।
জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন বড়াল অভিযোগটি আমলে নিয়ে সদর থানাকে নিয়মিত মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগ, পেনাল কোড এর ৪৯৭/৪৯৮/৪০৬/৪২০/৫০৬ (২) ধারা।
বাদীর অভিযোগের বিবরণে জানা গেছে, নড়াইল সদর হাসপাতালের এক মেডিক্যাল অফিসার হাসপাতালের ডক্টরস কোয়ার্টারে থাকেন।
এদিকে হাসপাতালের একজন এমএলএসএস (কর্মচারী) ও তার স্ত্রীও কর্মচারী কোয়ার্টারে থাকেন। কোয়ার্টারে পাশাপাশি থাকার সুযোগে চিকিৎসক ও কর্মচারীর স্ত্রী অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তাদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে বিভিন্ন অশ্লীল ছবি আদান-প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া গত ৩ নভেম্বর কর্মচারী কোয়ার্টারের এক কক্ষে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের হাতে-নাতে ধরেও ফেলেন মামলার বাদী হাসপাতালের ওই কর্মচারী।
অনৈতিক সর্ম্পকের ব্যাপারটি হাতে নাতে ধরে ফেলার পর অভিযুক্ত চিকিৎসক ওই কর্মচারীকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য হুমকি দেন।
এমনকি কর্মচারীকে হত্যা ও চাকুরিচ্যুত করারও হুমকি দেয়া হয়। মামলায় পাঁচজনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নড়াইল সদর হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় তিনি ইতোমধ্যে জয়পুরহাটে জেল খেটেছেন।
গত ৫ ডিসেম্বর জয়পুরহাটে স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুক মামলায় ওই মেডিক্যাল অফিসার কারাগারে যান।
সম্প্রতি তিনি জামিন পেয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালের কোয়ার্টারে একাই বসবাস করেন। অভিযুক্ত চিকিৎসকের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানি মাস্টারপাড়ায়।
এদিকে অভিযুক্ত চিকিৎসক কর্মচারীর স্ত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। এ ব্যাপারে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুরকে ফোন করা হলে তিনি সাড়া দেননি।
আরও পড়ুনঃ
- সুন্দরগঞ্জে এমপি লিটন স্মরণে র্যালি ও আলোচনা সভা
- সমাপনীর ফল যেভাবে জানা যাবে
- রংপুর বিভাগে নতুন বছরের প্রথম দিনে ৪ কোটি বই বিতরণ
- জেএসসি-জেডিসিতে পাস ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ
- আগামীকাল জন্ম নেবে ৮ হাজারের বেশি শিশু