এফএনএস ডেস্ক: ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কায় প্রাণঘাতী বোমা হামলা চালানোর সঙ্গে জড়িত জঙ্গিরা শিগগিরই আরও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে বলে দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সতর্ক করেছেন। জঙ্গিরা সামরিক পোশাকের ছদ্মবেশে একটি ভ্যান ব্যবহার করে হামলা চালাতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
ফের একযোগে অনেকগুলো হামলা হতে পারে, আইনপ্রণেতা ও অন্যান্য নিরাপত্তা শাখাগুলোর কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে পুলিশের মন্ত্রিপরিষদ নিরাপত্তা বিভাগের (এমএসডি) প্রধান একথা বলেছেন; চিঠিটি গতকাল সোমবার রয়টার্স দেখেছে বলে জানিয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রাসঙ্গিক ওই তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে হামলাগুলোতে একটি ভ্যান ব্যবহারকারী সামরিক উর্দি পরা ব্যক্তিরা জড়িত থাকতে পারে। রোববার ও গতকাল সোমবার হামলা চালানোর জন্য জঙ্গিরা পাঁচটি জায়গা লক্ষ্যস্থল করেছে বলে এতে বলা হয়েছে। চিঠিতে নতুন লক্ষ্যস্থলগুলোর একটি বাত্তিকালোয়ায় বলে বলা হয়েছে। ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কার পূর্ব উপকূলের এ শহরের একটি গির্জায় চালানো আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হন। অন্য নতুন লক্ষ্যস্থলগুলো কোথায় চিঠিতে তা উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। রোববার কোনো হামলা হয়নি এবং শ্রীলঙ্কাজুড়ে উচ্চ নিরাপত্তা সতর্কতা বজায় আছে। দেশটির মন্ত্রিসভার দুই জন সদস্য এবং বিরোধীদলীয় দুই আইনপ্রণেতা সর্বশেষ নিরাপত্তা সতর্কতার বিষয়ে তারা জ্ঞাত বলে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন। এমএসডি বিষয়টি আমাদের জানিয়েছে,” বলেছেন শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিথা সেনারতেœ।
গত ২১ এপ্রিল দেশটির তিনটি গির্জা ও চারটি হোটেলসহ আট জায়গায় প্রায় একযোগে চালানো সমন্বিত আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫৩ জন নিহত হন। এরপর থেকে প্রায় শতাধিক সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তা বাহিনী, যাদের মধ্যে ৪০ জন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করলেও শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াত (এনটিজে) ও জামিয়াতুল মিল্লাতু ইব্রাহিম নামের স্বল্প পরিচিত স্থানীয় দুটি কট্টরপন্থি গোষ্ঠীর সদস্যরা হামলাগুলো চালিয়েছে।
জারি করা জরুরি অবস্থার ক্ষমতাবলে এ দুটি গোষ্ঠীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। এই একই বিধির আওতায় গতকাল সোমবার থেকে সব ধরনের মুখ ঢাকা পোশাকও নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সরকার। বোমা হামলার পর প্রথমবারের মতো রোববার রাতে কারফিউ তুলে নেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাজধানী কলম্বোতে পুলিশ যথেচ্ছভাবে শরীর চেক ও তল্লাশি চালানো অব্যাহত রেখেছে।