ডিমলা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ এক গৃহবধুর হত্যা না অত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড়। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী ডিমলা উপজেলা ৫নং গয়াবাড়ি ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ি ১নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে মোঃ জাহিদুল ইসলামের বাড়িতে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গৃহবধু আইরিন (২৭)- এর ১ মেয়ে ৩ মাস বয়ষ ১ ছেলে ৪ বছর বয়ষ।
সে পার্শেবর্তী ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নে ডালিয়া মৌজার আব্দুল মজিদের মেয়ে। তার শ্বাশুড়ি মোছাঃ রুববান বেগম জানান, ১৫ এপ্রিল সকাল বেলায় আমরা দুপুরে কী তরকারী রান্না করবো এ কথা জানালে সে বলে সজিনার কথা। আমি সজিনা আনতে যাই এবং এসে দেখি বৌমা তার ঘরে নাই। অতপর আমার বড় ছেলে মোঃ জানেক আলী উঠানে টুকড়ি গাঁথে। তাকে জিজ্ঞেস করলে সে বলে আমি তো তাকে বাইরে যেতে দেখেনি। টয়লেট থেকে শুরু করে বাড়ির আসে পাশে খোজাখুজি করি এবং ফিরে এসে উত্তর দুয়ারী দক্ষিন ঘরের দরজায় উঁকি মেরে দেখি সে উড়না দিয়ে ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এতে আমার চিৎকারে আমার ননদীনি মোছাঃ বেগম ছুটে আসে।
এ সময় আইরিনের শ্বশুর ও স্বামী কোথায় ছিল জানতে চাইলে, তিনি বলেন ছেলে গেছে টাংগাইলে ইট ভাটায় কাজ করতে। আর আমার স্বামী বাজারে গেছে। অপরদিকে আইরিনের পরিবার বলেন ভিন্ন কথা। তার ভাই মোঃ আলমগীর হোসেন জানায় বোনের বিয়ে দেওয়ার ৯ বছর হলো। এ ৯ বছরে যৌতুকের দায়ে তার স্বামী, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী প্রায় শারীরিক ও মানসিক নির্যতন করে আসছিল এবং প্রথম সন্তান হওয়ার পর ১ বছর আমাদের বাড়িতে ছিল এবং সব টাকা পরিশোধ করে ২ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের উপস্থিতে বিচার করে তাকে পাঠিয়ে দেই। সে ছিল একজন শান্ত প্রকৃতির মেয়ে কেউ কিছু বললে তার প্রতিবাদ না করে শুধু কান্না করতো। এরই মধ্যে তার পাষান্ড স্বামী আবারো নানান অজুহাতে টাকার দাবি করে। গলায় ফাঁস দেওয়ার মত মেয়ে সে নয়। তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্য মোঃ মফিজ উদ্দিন শেখ- এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ময়না তদন্ত রিপোর্ট আসলে বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।