এ.আই.পলাশ.চিলাহাটি, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর চান্দখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রাজিউল আলম বসুনিয়া (রাজুর) বিরুদ্ধে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এলাকাবাসী ও অভিভাবকদের সাথে বিবাদ চলে আসছিল।
এরেই মধ্যে জেলা/উপজেলা পর্যায়ে শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে এলাকাবাসী লিখিতভাবে অভিযোগপত্র দায়ের করার প্রেক্ষিতে উর্ধ্বতন কর্তীপক্ষ উক্ত প্রধান শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
তিনি দীর্ঘদিন বরখাস্ত থাকার পর গত ২৪শে ডিসেম্বর ২০১৯ইং বরখাস্ত উইড্রো হলে তিনি গত বুধবার সকাল ৯টার দিকে অতিগোপনে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী পিয়ন মোজাবুল হকের সঙ্গে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে হাজিরা খাতায় দ্রুত সই করে সটকে পরে।
ঘটনাটি এলাকাবাসী জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রধান দরজায় তালা লাগিয়ে দিয়ে বৃক্ষ মিছিল করতে থাকে।
এ ব্যপারে সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ফটকে তালা লাগানো দেখতে পেয়ে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেনেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, “এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রাজিউল আলম বসুনিয়ার বিরুদ্ধে বহু অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি টাকার জোড়ে পার পেয়ে গেলেও এলাকাবাসী তাকে ছাড়বে না। এবং এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এলাকার লোকজন তাকে প্রবেশ করতে দেবে না”। অপরদিকে উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষিকা আয়শা খাতুন ও রেজওয়ানা বলেন, “এলাকার লোকজন শান্ত হলেই স্কুলে তারা প্রবেশ করে ক্লাস চালু করবে”।
এ ব্যপারে কেতকীবাড়ী ইউপির চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু বলেন, “শিক্ষার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করেছে এই প্রধান শিক্ষক। উর্ধ্বতন কর্তিপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি তারাই ব্যবস্থা নিচ্ছে”। ডোমার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমির হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই সংবাদ দাতাকে জানান, “এলাকাবাসীর দাবি মেনে নিয়েছি।
আগামি ৭ই জানুয়ারি ২০২০ইং পর্যন্ত উক্ত প্রধান শিক্ষক ডোমার উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবস্থান করবে। তিনি উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর প্রবেশ করতে পারবে না”। এরপর এলাকাবাসী শান্ত হলে পুনরায় শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসে।