সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমার হাতের দামি ঘড়িসহ পরনে যেসব পোশাক দেখা যায়, তার সবই কর্মীদের ‘ভালোবাসার উপহার’।
আমি নিজের টাকায় কিনি না। বিভিন্ন সময় কেউ না কেউ আমাকে এসব উপহার দিয়েছে। গতকালও সিঙ্গাপুর থেকে একজন তিনটা কোটি বানিয়ে এনে আমাকে উপহার দিয়েছে। আমি এগুলোর দামও জানি না।’
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সুইডেনভিত্তিক নিউজ সাইট ‘নেট্রা নিউজ’ এ গত ২৬ ডিসেম্বর ওবায়দুল কাদেরের ঘড়ি নিয়ে একটি প্রতিবেদন দাবি করা হয়েছে ওবায়দুল কাদেরের হাতের রোলেক্স ঘড়ির মূল্য প্রায় ৩৪ হাজার ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য প্রায় ২৮ লাখ টাকা। এরপর থেকে ওই পোর্টালটি বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে।
সাংবাদিকরা এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার যত ঘড়ি আছে একটাও নিজের পয়সা দিয়ে কেনা না। ধরেন আপনি বিদেশে গেলেন এসে আমাকে একটা ঘড়ি দিলেন, আমি নিলাম। কাজেই আল-জাজিরাসহ যারা ওই সংবাদটি প্রচার করেছে, তারা কিসের ভিত্তিতে করেছে, আমার জানা নেই। এটি তাদের বিষয়।’
এদিকে গত জাতীয় নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া হলফনামার সঙ্গে মিলিয়ে নেট্রা নিউজে দেখানোর চেষ্টা করেছে, ওই সাতটি ঘড়ির মধ্যে একটির দামই সেতুমন্ত্রীর এক বছরের আয়ের প্রায় সমান। হলফনামায় ওইসব ঘড়ির কোনো উল্লেখও নেই।
এর মধ্যে অত্যন্ত দামি একটি ঘড়ি কোনো একটি ‘কন্ট্রাক্ট পাস’ করিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি ‘উৎকোচ হিসেবে’ নিয়েছেন- এমন অভিযোগ পাওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
অভিযোগ অস্বীকার করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারব, কোনো কন্ট্রাকটরকে বসতেও দিই না, আমার সাথে কোনো কন্ট্রাকটরের বৈঠক হয় না, যেটা হত অতীতে।
আজকাল প্রমোশনের জন্য কোনো তদবির হয় না। কন্ট্রাকটররা ইলেকশনের আগে একটা অ্যামাউন্ট দিতে চেয়েছিল, সরাসরি না করেছি। আমাকে ইলেকশনের টাকা প্রধানমন্ত্রী নিজেই দিয়েছেন, কারো থেকে নিতে হয়নি।’